• facebook
  • twitter
Sunday, 9 November, 2025

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন বহাল চন্দ্রনাথের, ইডির আর্জি খারিজ আদালতের

বৃহস্পতি এবং শুক্রবার (২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর) এই দু’দিন মন্ত্রীকে ইডি দফতরে যাওয়ার নির্দেশ

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি পেলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। ইডির মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বহাল রাখল ব্যাঙ্কশাল আদালত। মন্ত্রীর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি যে আর্জি জানিয়েছিল, তা খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। তবে আরও দু’দিন তাঁকে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে পুজোর মুখে আপাতত স্বস্তি পেলেন কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তবে আদালত জানিয়েছে, জামিন পেলেও আপাতত নিজের বিধানসভা কেন্দ্র এবং কলকাতার বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না মন্ত্রী। যতদিন পর্যন্ত শুনানি চলবে, ততদিন এই নিয়ম মানতে হবে।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রনাথের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর চন্দ্রনাথকেই প্রথম মন্ত্রী হিসাবে ইডি চার্জশিট দেয়। মন্ত্রীকে হেফাজতে নিয়ে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর চন্দ্রনাথ সিনহা বিচারভবনে ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। সেই সঙ্গে জামিনের আবেদনও করেন। ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল।
বুধবার আদালতের নির্দেশ অনুসারে, চন্দ্রনাথ সিনহার জামিন বহাল থাকছে। এই মুহূর্তে ইডি তাঁকে হেফাজতে নেবে না। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার অর্থাৎ ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর– এই দু’দিন মন্ত্রীকে ইডি দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। দু’দিনের জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হলে কারামন্ত্রীকে ফের সমন পাঠাতে পারবে ইডি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে মন্ত্রীর বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। নগদ ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গত শনিবার ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, ‘তখন রাজ্যের কারামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলে তাঁর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হয়ে যেতেন। ওঁর লার্জার কানেকশন আছে। আমরা বাকি তথ্য পেতাম না। এখন আমরা সব তথ্য জোগাড় করেছি। তাই হেফাজতে চাইছি।’ আদালত থেকে বেরিয়ে চন্দ্রনাথ বলেন, ‘আদালতের উপর আমার আস্থা রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। জ্ঞানত কোনও অন্যায় করিনি। বিচারব্যবস্থা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।‘ আদালতের নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। রাজ্যের ভাবমূর্তিতে কালো দাগ লাগাতে ইডি উঠেপড়ে লেগেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।