• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ৭ জন পড়ুয়ার সাসপেনশন স্থগিত রাখলো হাইকোর্ট

সাসপেন্ড হওয়া ৭ জনকে ফের কলেজে প্রবেশ এবং ক্লাস করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের র‍্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ৭ পড়ুয়ার সাসপেনশন স্থগিত করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসাথে তাঁদের ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৭ জন পড়ুয়াকে র‍্যাগিংয়ে অভিযোগে সাসপেন্ড করেছিল কলেজ কাউন্সিল। শুক্রবার ছিল মামলার শুনানি। সেখানেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের অন্তর্বর্তী নির্দেশে আপাতত ক্লাস করার অনুমতি পেল অভিযুক্ত ৭ জন ডাক্তারি পড়ুয়া।এর পাশাপাশি হাইকোর্ট আরও জানাল, -‘যদি তাঁরা ক্লাস করতে গিয়ে কোনও বাধার সম্মুখীন হয়, তবে থানার সাহায্য নিতে পারেন। কিন্তু এক্ষুনি হোস্টেলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁদের’। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর।আদালত সুত্রে প্রকাশ৷ গত ১১ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ৭ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। এরপরেই তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করে কলেজ কাউন্সিল এবং তাঁদের হস্টেলে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইশা পাল-সহ ৭ পড়ুয়া। এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, ”র‍্যাগিংয়ের চার্জ কী, সেটা তাঁদের জানানো হয়নি। একতরফা কথা শুনেই কর্তৃপক্ষ কীভাবে তাঁদের কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারেন? শুধুমাত্র অভিযোগ শুনেই পদক্ষেপ? এটাই তো ‘থ্রেট কালচার’! আইনজীবীর সওয়ালের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট ওই পড়ুয়াদের ক্লাস করার অনুমতি দিল। গত ৯ অগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক কে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার মামলা এখনও সুপ্রিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই আবহে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ‘দাদাগিরি’ চালানোর অভিযোগ উঠছে। আর তাতেই নাম জড়িয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেরও। জুনিয়র ডাক্তাররা রাতদিন আন্দোলন চালাচ্ছেন। এরপর একই অভিযোগে ওই মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আরএমও অভীক দে-কে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্যভবন। তবে এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া ৭ জনকে ফের কলেজে প্রবেশ এবং ক্লাস করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

Advertisement

Advertisement