উত্তরবঙ্গে বাস পারমিট ফি বৃদ্ধি নিয়ে পরিবহন দপ্তরকে চিটি বাস সংগঠনের

বেসরকারি বাসের পারমিট ফি বৃদ্ধি নিয়ে পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং পরিবহন সচিব সৌমিত্র মোহনকে চিঠি দিল বাস সংগঠন। উত্তরবঙ্গে এই সময় শীতকালীন পর্যটন মরসুম। সেই  সময়ে বাসের পারমিট অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস। পারমিট ফি বৃদ্ধির ফলে একদিনের উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিঠিতে তপনবাবু লিখেছেন,  নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, এই চার মাস উত্তরবঙ্গে পর্যটকের মরসুম। এই সময় উত্তরের বিভিন্ন জেলায় পর্যটকদের প্রচুর ভিড় থাকে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, ডুয়ার্স–সহ বহু গন্তব্য পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। সরকারের তরফে পরিকাঠামোগত উন্নয়নও করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ করতে যাচ্ছে।

উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় আরটিও দপ্তর পারমিট ফি বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে বেসরকারি বাস বুকিংয়ের মোট খরচ বেড়ে গিয়েছে। স্কুল, কলেজের বনভোজন দল বা স্বল্প বাজেটের পর্যটকরা ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বাস বুক করতে পারছেন না। ফি বৃদ্ধির ফলে পর্যটনে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তপনবাবু।


চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘সরকার যখন উত্তরবঙ্গের মতো জায়গাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলেছে, তখন সাধারণ মানুষের আর্থিক নাগালের মধ্যে ভ্রমণের সুযোগ রাখা জরুরি। পারমিট ফি বাড়ায় মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে।‘ পরিবহন দপ্তরে কাছে পারমিট ফি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ফি কমলে বাস বুকিং বাড়বে। পর্যটন মরসুমে উপকৃত হবেন স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটন নির্ভর ছোট ব্যবসায়ীরা। পরিবহন দপ্তর বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে বলে আশা করছে বাস সংগঠন। চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছে পরিবহন দপ্তর। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বলে পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর।