রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে অ্যাম্বুলেন্সে আটকে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, অবরোধে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জঙ্গিপুর পুরসভার পুরপ্রধান মফিজুল ইসলাম। কিশোরের মা জানিয়েছেন, সোমবার হঠাৎ তার ছেলের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হয়। সঙ্গে পেটেও ব্যথা করছে বলে সে জানায় তার মা–কে। ছেলের অসুস্থতার তথা শুনে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে জঙ্গিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স ভাগীরথি নদীর ব্রীজের কাছে আসতেই তৈরি হয় বিপত্তি।
নিহত কিশোরের মা বলেন,”আমরা পুলিশকে বলি গাড়িটা পার করে দিতে। পুলিশ জানায়, সামনে বোমা পড়ছে। এর পর পুরপ্রধানকে দেখে তাঁকে অনুরোধ করি। কিন্তু তিনিও কোনও সাড়া দেননি। অনেক চেষ্টার পর দীর্ঘ সময় পর অবরোধের এলাকা পার করে হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসকরা জানান, পথেই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। আরেকটু তাড়াতাড়ি আনতে পারলে বাঁচানো যেত।”
অভিযোগ অস্বীকার করে জঙ্গিপুরের তৃণমূলের পুরপ্রধান মফিজুল ইসলাম জানান, ‘আমি সেখানে ছিলাম। তবে আমার কাছে অ্যাম্বুল্যান্স পার করে দেওয়ার কোনও অনুরোধ কেউ করেনি। আমার হাতে একটা ছোট লাউড স্পিকার ছিল। সেটা দিয়েই আমি বারবার ঘোষণা করে ভিড় সরানোর অনুরোধ করছিলাম।’
এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ নিহত কিশোরের পরিবার। আর্তনাদের সুরে তিনি বলেন, ”আমাদেরকে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে এল না।আরেকটু আগে হাসপাতালে পৌঁছতে পারলে ছেলেটাকে বাঁচাতে পারতাম।”



