আগামী ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থান নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে সদ্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, জেলা পরিদর্শক বা ডিআই কিংবা বিদ্যালয়ে পরিদর্শকদে বা এসআই-দের সন্তান যদি এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তবে সংশ্লিষ্ট ওই আধিকারিকরা পরীক্ষার ব্যবস্থার সঙ্গে আর যুক্ত থাকতে পারবেন না।
নির্দেশিকাতে স্পষ্ট বলা রয়েছে, যে সমস্ত ডিআই এবং এসআই-এর সন্তানরা ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে, তাঁদের আবশ্যিকভাবে সেই তথ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানাতে হবে। নিযুক্ত আধিকারিকদের সন্তানেরা পরীক্ষার্থী হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা এবং সামগ্রিক পরীক্ষা ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ডিআই এবং এসআইদের সন্তানরা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলে তাঁরা সাধারণত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পর্ষদকে জানিয়ে পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। এটিই প্রত্যাশিত আচরণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু গত বছর একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছিল, যা পর্ষদকে এবার আগাম বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য করেছে।’
আসলে পরীক্ষা ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে তাঁদের গুরুত্ব অপরিসীম। নীতিগত দিক থেকেই বাড়ির কেউ পরীক্ষা দিলে পর্ষদকে জানানো উচিত। কিন্তু গতবছর মালদহের ডিআই-এর ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল, যা লুকিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চারটি বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ার পর ব্যাপারটি জানাজানি হয়।
গত বছরের সেই অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে এবং পরীক্ষা পদ্ধতির উপর সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করল। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সমস্ত ডিআই এবং এসআই-দের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, সন্তানের পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই গোপন রাখা যাবে না