শিশু ধর্ষণ, টাকা দিয়ে মেটানোর চেষ্টা বিজেপি নেতার

বছর চারেকের প্রতিবেশীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মীর বছর পনেরোর ছেলে! ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির। ইতিমধ্যেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে তালপাতি কোস্টাল থানার পুলিশ। সামগ্রিক ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানেই শেষ নয়, এহেন নৃশংস ঘটনার ন্যায়বিচার দাবির পরিবর্তে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া বিজেপি! নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্যের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি প্রধান কালীপদ মন্ডল টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মিটমাট করতে চেয়েছেন। তবে পরিবারের দৃঢ় অবস্থান, তাঁরা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চান।

এই ঘটনা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরে তৃণমূল লিখেছে, ‘এমন এক জঘন্য অপরাধ যেকোনো মানুষের মনকে নাড়া দেয়। কিন্তু, বিজেপির তাতে কিছুই যায় আসে না! ন্যায়বিচারের বদলে মামলা ধামাচাপা দিতে তাদের স্থানীয় প্রধান শিশুটির পরিবারকে টাকা দিতে চেয়েছে। কোনও সন্দেহ নেই, বিজেপি নিমজ্জিত হয়েছে চূড়ান্ত নৈতিক অধঃপতন ও নোংরামির অন্ধকার গহ্বরে।’ তৃণমূলের সংযোজন, ‘এই হল তাদের প্রকৃত চেহারা — একদল নীতিহীন বিকৃতমনস্ক, যারা শিশুর যন্ত্রণার দাম টাকায় মাপতে চায়।

কিন্তু এই নগদে লেনদেন করতে গিয়ে তারা হাতেনাতে ধরা পড়েছে।’ তৃণমূলের নিশানায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শাসকদলের আক্রমণ, ‘এই ঘৃণ্য ঘটনা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলাতেই! যেখানে চলে তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশ এবং যে কোনো ঘৃণ্য কাজ চলে তাঁর অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড সাম্রাজ্যের পূর্ণ আশীর্বাদে। জঘন্য শব্দটিও এর তুলনায় ছোট। আমরা সবরকম সাহায্য নিয়ে শিশুটির পরিবারের পাশে আছি। বিজেপি, তোমরা ধরা পড়েছো। এই লজ্জা অন্তত টাকা দিয়ে ঢেকে রাখতে পারবে না।’


প্রসঙ্গত, শিশুটি নাবালকের দিদির কাছে টিউশন পড়তে যেত। গত ২২ অক্টোবরও একইভাবে পড়তে যায়। সেদিন দিদি অসুস্থ থাকায় নাবালক পড়াচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সুযোগে খুদেকে ধর্ষণ করে নাবালক। সন্ধের পর থেকে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে কাঁদতে কাঁদতে গোটা ঘটনা বাড়িতে জানায় শিশুকন্যা। অভিযোগ, সালিশি সভায় শিশুর পরিবারের হাতে প্রথমে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মিটমাটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। তবে পরিবার টাকা নিতে অস্বীকার করে।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘অত্যন্ত জঘন্য ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা শাস্তি চাই। সবসময় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি।’