সিঙ্গুরে টাটা’কে ফেরাতে মােদি-শাহর আশ্বাস চাইছে বিজেপি

টাটা’কে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির কাছে দরবার করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিজেপি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে সেই আশ্বাস দেওয়ানাে।

Written by SNS Kolkata | January 25, 2021 2:33 pm

টাটা গ্রুপ (File Photo: AFP)

টাটা’কে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির কাছে দরবার করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিজেপি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে সেই আশ্বাস দেওয়ানাে। রাজ্য বিজেপির একাংশের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই অমিত শাহ আসতে পারেন সিঙ্গুরে। শােনাতে পারেন শিল্প নিয়ে আসার আশ্বাস ও টাটাকে ফেরাতে চেষ্টার প্রতিশ্রুতি, বলে খবর। 

গােটা রাজ্যে কৃষকদের বাড়ি থেকে এক মুঠো চাল সংগ্রহের পরে কৃষক ভােজ হবে গ্রামে গ্রামে। তাতে যােগ দিতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে আসতে পারেন নাড্ডা। ওই কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট জানিয়েছেন, ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, সেই সময়েই সিঙ্গুরে সভা হতে পারে অমিতের। ইতিমধ্যেই সেই আবেদন পৌঁছেছে অমিতের কাছে। তবে লকেটের দাবি, এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই। 

রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষের বক্তব্য, ‘অনেক সই হবে অমিত শাহ’র। তবে ওঁর সফরসূচি না জানা পর্যন্ত কোনও কর্মসুচি সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবেনা।’

মুকুল রায় আগেই বলেছেন, ‘সিঙ্গুরের মাটিতে এলে পাপবােধ জন্মায়। যে ভাবে আন্দোলন করে টাটাকে তাড়ানাে হয়েছিল, তাতে সারা ভারত বাংলা সম্পর্কে জেনে গিয়েছিল। তাই পাপবােধ জন্ম নেয়। অন্যায় হয়েছিল। ভুল করেছিলাম।’

ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপনের আশ্বাসও দেন মুকুল। ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গিয়েও দিলীপ ঘােষ, শুভেন্দু অধিকারীদের পাশে নিয়ে মুকুল বলেন, সিঙ্গুরে টাটাকে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন তাঁরা। 

সিঙ্গুরের প্রাকৃতিক চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেখানে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর রেলস্টেশনের কাছে ১১ একর জমিতে কাজ হবে। ওই পার্ক গড়তে কারও থেকে কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না।

লকেট চ্যাটার্জী বলছেন, ‘২০১১ সালে সিঙ্গুরে যখন টাটার কারখানা তৈরির কাজ ৯৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল, তখন উনি ওদের বিদায় দিয়েছিলেন। এখন জমিটার এমন অবস্থা, যে আর কৃষিও হবে না। এখন ভােটের সময় তাঁর হঠাৎ সিঙ্গুরের কথা মনে পড়ল?’

প্রসঙ্গত, গত লােকসভা নির্বাচনে হুগলি আসনে লকেটের জয়ে অনেকটাই অবদান ছিল সিঙ্গুরের। এককালে বামেদের ‘দুর্গ’ হুগলি আসনে বারবার জেতা সিপিএম প্রার্থী রূপচাঁদ পাল ২০০৪ সালের নির্বাচনেও পেয়ছিলেন ৫৪ শতাংশ ভােট।

এরপরে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে জেতেন তৃণমূলের প্রার্থী জয়ী হলেও দু’বারই তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপির উত্থান হয় ২০১৯-এর নির্বাচনে। ৭২ হাজারেও বেশি ব্যবধানে জেতেন লকেট চ্যাটার্জী। আর সিঙ্গুর বিধানসভা এলাকা থেকেই তিনি এগিয়েছিলেন ১০ হাজারের বেশি ভােটে।