খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে জন্ম-মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করে বিলি করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিড়ম্বনায় পড়ল বিজেপি। ভুয়ো শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় সোমবার রাতে কুন্দনকুমার দাস নামে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। এর পরই গেরুয়া শিবির অস্বস্তিতে পড়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ, জাল শংসাপত্র বিলি দুর্নীতিতে কুন্দন জড়িত রয়েছেন। মঙ্গলবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও পুলিশ কুন্দনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে।
ভুয়ো শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় সোমবার রাতে কুন্দনকে থানায় এনে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সেই সময় তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সরাসরি অনেক প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। এরপর রাতের দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া এবং রাজগঞ্জ ব্লকের অনেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে কুন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
বিজেপি নেতার গ্রেপ্তারির ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে দলের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন কুন্দন। এপ্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, এটি জাতীয় সুরক্ষার বিষয়। পুলিশ যেন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ। খড়িবাড়ি থানার ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস জানান, কুন্দনকে কয়েকদিন পরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।