• facebook
  • twitter
Friday, 13 December, 2024

২০২৬–এ কোনও সম্ভাবনাই নেই বিজেপির, চ্যালেঞ্জ ফিরহাদের

ঠিক যেভাবে আমি বিধায়ক থাকাকালীন নৈহাটি জুড়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। আপনার একটা ভোটের অর্থ বিজেপির আগ্রাসনের রাজনীতির বিরুদ্ধে রায়দান।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচার মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করলেন পুরমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি দাবি করেন, দিবাস্বপ্ন দেখছে বিজেপি। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে তাদের জেতার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই বলেও দাবি মন্ত্রীর।

শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির পাল্লাহদ এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে’র সমর্থনে প্রচার করতে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই তিনি বলেন, ‘২০২৬-এর দিবাস্বপ্ন দেখছেন আপনারা। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই। বিজেপির কোনও সম্ভাবনাই নেই। ২০২১-এর আগে বলেছিলেন, এবার ২০০ পার, মানুষ বিজেপিকে করে দিল পগারপাড়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে, বলল হবে ৩৫। আমরা হলাম ৩০। ২০২৬-এ কোনও সম্ভাবনাই নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওরা শুধু সাম্প্রদায়িক তাস খেলে। বাংলায় সেই রাজনীতি চলে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুলের বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে উন্নয়ন হচ্ছে। আর বাংলার মানুষও সেটাই চায়।’

এদিন নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-এর সমর্থনে প্রচারে উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, সাংসদ পার্থ ভৌমিক সহ আরও অনেকে। ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘এই নির্বাচনে রাজ্য সরকারের বদল হবে না। তাই তৃণমূলের বিধায়ক নির্বাচিত হলে উন্নয়নও হবে দ্রুত গতিতে। ঠিক যেভাবে আমি বিধায়ক থাকাকালীন নৈহাটি জুড়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। আপনার একটা ভোটের অর্থ বিজেপির আগ্রাসনের রাজনীতির বিরুদ্ধে রায়দান।’

অপরদিকে, ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘ব্যারাকপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বহু পাটকল আজ বন্ধ। এর জন্য দায়ী কেন্দ্র। আমাদের শ্রমিকরা পর্যাপ্ত অর্ডার পান না। আমাদের সাংসদ লড়াই করছেন এই অচলাবস্থার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ থেকে নেপাল অর্ডার পাচ্ছে, বাংলা কেন পাবে না? এটা কী ধরণের বিচার?’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলায় জাতি–ধর্মের উর্ধ্বে মানবিকতা ও জনসেবা প্রাধান্য পায়। এখানেই বিজেপিশাসিত রাজ্যের সঙ্গে বাংলার পার্থক্য।’