আব্বাস ইস্যুতে সুর নরম অধীরের জোট ধর্মের পাঠ শেখালেন বিমান

বিমান বসু (File Photo: IANS)

আইএসএফ ইস্যুতে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সুর নরম করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই সঙ্গে আসন ছাড়ার ইঙ্গিতও পাওয়া গেল কংগ্রেসের তরফে। আগামী দু তিন দিনের মধ্যে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘােষণা করবে কংগ্রেস। এদিন বৈঠক থেকে আব্বাসকে বার্তা দিলেন বিমান বসু।

তিনি বলেন, “ব্রিগেডে ওই বার্তা ঠিক নয়। সবাই যখন থাকে তখন এক সুরে কথা বলতে হয়। একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলােচনা চলছে। বক্তব্য সবার এক হওয়া উচিত। আশা করি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট তা উপলব্ধি করবে।

‘এদিন অধীর বলেন, বামেদের সঙ্গে প্রথম থেকেই আমাদের আলােচনা মসৃণ ভাবে এগােচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলায় আলােচনা চলছে। নতুন দল যুক্ত হওয়ায় তাদেরকে জায়গা দিতে গিয়ে খানিকটা সময় লাগছে। তবে সব সমস্যা মিটে যাবে। এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন আব্দুল মান্নান শারীরিক অসুস্থতার কারণে। কংগ্রেস ৯২ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।


এদিকে অধীরের তীব্র সমালােচনা করে কৈফিয়ত চাইলেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপ দলনেতা আনন্দ শর্মা। তিনি টুইট করে বলেন, ‘আইএসএফ বা সে ধরণের কোনাে পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসর জোট গঠন দলের মৌলিক বিচারধারা, গান্ধিবাদ এবং নেহরুবাদী ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের পরিপন্থী। এ ব্যাপারে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে আলােচনা করে অনুমােদন নেওয়া উচিত ছিল। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই সিলেকটিভ হতে পারে না।

এর পাল্টা অধীর বলেন, ‘আনন্দ শর্মা কে? উনি কার হাতে তামাক খাচ্ছেন। আমি ওনার কথার কেন জবাব দেবাে? বিধানভবনে আসন জট ছাড়াতে সােমবার বাম-কংগ্রেসের বৈঠক হয়। বৈঠকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, নেপাল মাহাততারা উপস্থিত ছিলেন। বাম শিবিরের পক্ষ থেকে ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র। আসন সমঝােতা করতে এই বৈঠক।

এদিকে, নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, মালদা ও মুর্শিদাবাদে একটা আসনও আব্বাসকে ছাড়া যাবে না। অধীন্দ্রে এহেন অনড় মনােভাবে জোট শেষ পর্যন্ত কি পরিণতি পায় তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

আব্বাস এবং অধীর, দুই পক্ষের যুদ্ধং দেহি মনােভাবে বেকায়দায় বাম শিবির। আব্বাস ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন নিয়ে ভাগাভাগি এতদিন ছিল চার দেওয়ালের মধ্যে। কিন্তু রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশে ভাইজান তা প্রকাশ্যে এনেছেন, তা নিয়ে রীতিমত বিরক্ত কংগ্রেস শিবির। এখন দেখার শেষ। পর্যন্ত ভাইজানের দলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝােতা অদৌ হয় কিনা।