ইন্টারনেটে বন্ধুত্বের টানে মুর্শিদাবাদ গিয়ে মৃত্যু ভাঙড়ের পড়ুয়ার

মুর্শিদাবাদ: বন্ধুত্বের টানে ভাঙড়ের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া ছুটে যায় মুর্শিদাবাদে। যদিও সেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা সোশ্যাল মিডিয়াতেই। আর তাতেই হল সর্বনাশ। জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়াকে না না রকমের খারাপ কাজ করার জন্য উস্কানি দেওয়া হত। ওই পড়ুয়া রাজি না হওয়াতে বান্ধবীর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস ও চন্দনেশ্বর থানার ওসি অতনু মজুমদার ভাঙড়ের নির্যাতিতা ছাত্রীটির বাড়িতে যান। নির্যাতিতার বাবাহারা জন্মের কয়েকমাস পর থেকেই, মা ও ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র ঘরে বাঁধেন। তার বেড়ে ওঠা ঠাকুমার কাছেই। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় রোজই নিত্যনতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ হয় আমাদের। কিন্তু সেই আলাপই যে কখনও মৃত্যুর কারণ হতে পারে, কে জানত! নির্যাতিতার বন্ধুত্ব হয় রেকসোনা খাতুন বলে এক মুর্শিদাবাদবাসীর সঙ্গে, সে হাজারদুয়ারি দেখানোর টোপ দেয় নির্যাতিতাকে। গত ৯ অক্টোবর ছাত্রীকে নিয়েও যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদে। এরপর অর্থ উপার্জনের জন্য নানা ভাবে জোর করা হয় ছাত্রীকে। সে তাতে রাজি না হলে করা হয় শারীরিক নির্যাতনও। খাইয়ে দেওয়া হয় কীটনাশক। 

মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকরা তাকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় বাড়িতেও। পরে তাকে রেফার করা হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে। ১১ অক্টোবর থেকে এই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তে অবশেষে ১৭ অক্টোবর মারা যায়। তবে মৃত্যুর আগে পরিবারকে সমস্ত কথা জানিয়ে গিয়েছিল নির্যাতিতা। তার লালবাগ থানায় ভিত্তিতেই অভিযুক্ত রেকসোনা খাতুনের বিরুদ্ধে অপহরণ করে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার।