বাংলায় আগুন জ্বলছে, নেভানাের চেষ্টা কোথায়: রাজ্যপাল

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। (File Photo: IANS)

ভাটপাড়ায় বােমাবাজিতে এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল ফের প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে। রবিবার ভাটপাড়ার ১ নম্বর কুলি লাইন এলাকায় এক জুটমিল শ্রমিকের বােমার আঘাতে মৃত্যু হয়। তার নাম জেপি যাদব। বােমের তীব্রতায় জে পি যাদবের ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। 

এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যপাল ট্যুইটে তার ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। লেখেন ‘পশ্চিমবঙ্গে ভােট পরবর্তী হিংসা আরও একটি ২৫ বছরের তরুণের জীবন কেড়ে নিল। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ভাটপাড়া পুরসভার এক নং ওয়ার্ডের কয়লা ডিপাে মােড়ে বােমার হামলায় ওই তরুণের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাংলায় আগুন জ্বলছে সেই আগুন নেভানাের জন্য পুলিশের কোনও চেষ্টা দেখছি না।’ এই টুইটটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশকেও ট্যাগ করেছেন রাজ্যপাল। 

এদিকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং মৃত জে পি যাদবকে তাদের সমর্থক বলে দাবি করেছে। এর পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে বলে অর্জুনের দাবি। যদিও তৃণমূল এই অভিযােগ অস্বীকার করে বলেছে এটা বিজেপির গােষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল যে বােমা ছুঁড়েছিল সেই দুষ্কৃতীও জখম হয়েছে তাকেও আটক করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। 


রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এবং ভােট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে তােপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই সঙ্গে আজ সােমবার মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। বিধানসভা নির্বাচনের পর এ রাজ্যে ১৭ জনের প্রাণ গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও অভিযােগ জমা পড়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা হয়েছে। 

ভােটের পর বিরােধীরা এ রাজ্যে অত্যন্ত ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সে কথা উল্লেখ করেছেন ধনকড়। তিনি লেখেন, রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এই অবস্থায় মুখ্যসচিবকে রাজভবনে ডাকা হয়েছে। ভােট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে রাজ্য কি পদক্ষেপ নিয়েছে? আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইবে।