আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থাকা দু’টি লকার খুলে বিপুল পরিমাণ সোনার গহনা উদ্ধার। গত সেপ্টেম্বরেই অগ্রণী ব্যাঙ্কের ঢাকার দিলকুশা শাখায় থাকা তাঁর দু’টি লকার বাজেয়াপ্ত করা হয়। বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেগুলি খুলে পাওয়া গেল প্রায় ৮৩২ ভরি সোনা— এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বাংলাদেশে তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার নামে অগ্রণী ব্যাঙ্কের পাশাপাশি পূবালী ব্যাঙ্কে থাকা আরও একটি লকারও আগেই বাজেয়াপ্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁর একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করেছে বর্তমান সরকার।
Advertisement
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের আগস্ট থেকে হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, এমনকি আন্দোলনের সময়ে গণহত্যা–সহ একাধিক মামলা চলছে। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সম্প্রতি তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে।
Advertisement
দীর্ঘদিন ধরেই করফাঁকি এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে হাসিনার উপর নজরদারি চালাচ্ছিল ইউনূস সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল, দুর্নীতিদমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আধিকারিকরা লকার খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন। করফাঁকি–সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তেই এই পদক্ষেপ। সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণের সঙ্গে হাসিনার আয়কর রিটার্নের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। এবার লকার খুলে বিপুল সোনা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত আরও গতি পাবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে করফাঁকি মামলায় বড়সড় আইনি জটের মুখে পড়তে পারেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সাময়িকভাবে ভারতেই আশ্রয়ে রয়েছেন হাসিনা। তাঁর প্রত্যর্পণ দাবি করে ইতিমধ্যেই দিল্লির কাছে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
Advertisement



