নিজস্ব প্রতিনিধি – বাংলায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর ৫৮ লক্ষ ভোটারের নাম বাতিল হয়েছে। নাম ও পদবির ভুলে প্রায় ২৫ লক্ষ সন্দেহজনক ভোটার রয়েছেন। সেগুলি সংশোধনের দায়িত্ব বর্তেছে বিএলও-দের উপর। খসড়া তালিকায় যে সমস্ত ভোটারদের বা তাঁদের আত্মীয়দের নাম বা পদবিতে ভুল রয়েছে, তা দ্রুত সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, খসড়া তালিকা প্রকাশের পর প্রায় ২৫ লক্ষ ভোটারের নাম ও পদবি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, তা সংশোধনের জন্য যদি ভোটাররা বিএলও-দের উপযুক্ত নথি দেন, তবে কোনওরকম সমস্যা হবে না। শুনানিরও প্রয়োজন হবে না। ভোটারদের এই সমস্ত বুথভিত্তিক তথ্য অ্যাপ-এর মাধ্যমে বিএলওদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএলও অ্যাপে নতুন একটি ট্যাব যুক্ত করা হয়েছে। সেখানেই এই সন্দেহজনক ভোটারদের বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে উপযুক্ত প্রামাণ্য নথি সংগ্রহ করে বিএলওদের ভুল সংশোধনের কাজ করতে হবে। এই সংশোধিত তথ্য আপলোড করতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভোটারকে ডিক্লারেশন ফর্মে সই করে জানাতে হবে যে, তিনি যে তথ্য জমা দিচ্ছেন তা সঠিক। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটারদের থেকে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখবে ইআরও। যদি তা সঠিক হয়, তবে আর শুনানির মুখোমুখি হতে হবে না।
নাম-পদবি সংশোধনের পাশাপাশি ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাঁদের আত্মীয় বা নিজেদের নামও ২০০২ সালের তালিকায় নেই। সেইসব ভোটারদের নথিও সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে কমিশনের নির্ধারিত ১৩টি নথির মধ্যে একটি অন্তত জমা দেওয়া বাধ্যতমূলক।
গত ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। সেই তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যের মোট ১ কোটি ৬৬ লক্ষ সন্দেহভাজনকে শুনানির মুখোমুখি হতে হবে। এত বিরাট সংখ্যক সন্দেহজনক ভোটারের শুনানি এক-দেড়মাস সময়ের মধ্যে কীভাবে হওয়া সম্ভব তা নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধে। শুনানির সংখ্যা কমাতেই এই পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। নাম বা পদবিতে যাঁদের ভুল রয়েছে, তা সংশোধনের দায়িত্ব এবার বর্তালো বুথ লেভেল অফিসারদের উপর।