প্রায় দু’বছর পর বীরভূমে বাড়ি ফিরলেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় গত ১৮ মাস ধরে জেলবন্দি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির তিহার জেলে অনুব্রতর পাশাপাশি বন্দি ছিলেন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও। মঙ্গলবার সকালে নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল।
বুধবার সাতসকালে দিল্লি থেকে বিমানে কলকাতায় আসেন অনুব্রত ও সুকন্যা। কলকাতায় বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সোজা বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফিরতেই উৎসব শুরু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। প্রিয় নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নামে জয়ধ্বনি দিতে শোনা যায় অনুগামীদের। পুষ্পবৃষ্টির মাঝে গাড়ি থেকে নেমে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ের মধ্য দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন তিনি।
Advertisement
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন। শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ভালোবাসি। দিদি যেমন আমাকে ভালোবাসেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা বাংলা, দেশের মানুষ ভালবাসেন। আমার পায়ের অবস্থা খারাপ। শরীর ভাল থাকলে দিদির সঙ্গে দেখা করব।’
Advertisement
অনুব্রত মণ্ডল আরও জানান, ‘আমি আদালতকে সম্মান করি, আইন মেনে চলি। দিদির জন্য আছি, বরাবরই থাকব। পায়ে ও কোমরে ব্যথা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বীরভূমে প্রশাসনিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হয় কিনা সেই দিকেই নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের।
অনুব্রত মণ্ডলের ঘরে ফেরা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অনুব্রত পুরোপুরি মুক্ত হননি, জামিন পেয়েছেন। ভারতের বিচার ব্যবস্থা সময় সাপেক্ষ, তাই অপেক্ষা করতে হবে।’
অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে কটাক্ষের সুরে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় উনি এ রাজ্যের থ্রেট কালচারের একজন প্রতিনিধি। সবসময় তাতে প্রশ্রয় ছিল মমতার। উনি ফিরে আসাতে নাড়াচাড়া হচ্ছে। ফিরহাদ বাঘ বলছেন।’
Advertisement



