আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া কল্যাণীতে

বছর ঘুরলেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মাস্টারস্ট্রোক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘোষণা করেছেন এবার পাড়ায় হবে জনসাধারণের সমস্যার সমাধান। প্রকল্পের নাম হল, আমাদের পাড়া,আমাদের সমাধান। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি শনিবার থেকে নদিয়ার কল্যাণীতেও শুরু হল আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান।

কল্যাণী পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভার পক্ষ থেকে করা হয় শিবির। ক্যাম্প শুরু হতেই ভিড় শুরু হল এলাকার মানুষদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সেই ভিড় আরও বাড়তে থাকে। শিবির পরিদর্শনে উপস্থিত হন কল্যাণী মহকুমা শাসক অভিজিৎ সামন্ত। উপস্থিত হন কল্যাণী পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবাশীষ হালদার। কথা বলেন এলাকার মানুষদের সঙ্গে। তাঁদের সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনেন। সেই সমস্যা নথিভুক্ত করা হয়। আশ্বাস দেওয়া হয়, ৯০ দিনের মাথায় মিটবে সমস্যার সমাধান।

আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান শিবির সূত্রে খবর, স্থানীয়রা মূলত রাস্তা, নর্দমার সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। কেউ কেউ বার্ধক্য ভাতা, এসসি-এসটি শংসাপত্র নিয়েও সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী সম্পর্কেও কথা বলেছেন।


কল্যাণী পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবাশীষ হালদার বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে এই প্রকল্প সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রী আজ দপ্তরগুলিকে মানুষের বাড়ির কাছে নিয়ে এসেছেন। এটা বিরাট চমক। মানুষ তাঁর সমস্যার কথা বলছেন আমাদের কাছে, ৯০ দিনের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান হবেই গ্যারান্টি দিয়েছে আমাদের সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। জনগণ তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেগুলি নথিভুক্ত হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে সেই সমস্যা সমাধান হবেই।’

স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে ঘুরতে হয়, খুঁজতে হয়। বাড়ির দোরগোড়ায় এই আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান শিবির হওয়ায় তাঁরা খুবই খুশি। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। সমস্যার কথা শিবিরে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।