রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু বাড়ল রেকর্ড সংখ্যায়। তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে একদিনে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে একদিনে মৃত ৩৯।
গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃত ১২ জন। একদিনে উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত ১০ জন। মৃত্যু ও সংক্রমণের কলকাতা ছাপিয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনাকে।
Advertisement
শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৬৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৬১ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা কোপে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ হাজার ৫২ জন।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৪ হাজার ৫৭২টি। এই মুহূর্তে রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ২৯.৫২ শতাংশ।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮৩১ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৬ জন। হুগলি, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে হাজারের ওপরেই রয়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
এদিকে, করোনা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। মেলা সহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ছাড় বহাল থাকবে।
তবে আপাতত বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ। ট্রেনও চলবে ১০ টা পর্যন্ত। আগের নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা রয়েছে। তবে কয়েকটা ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
গঙ্গাসাগরের পর এবার রাজ্যে অন্য মেলাতেও ‘ছাড়’ দেওয়া হয়েছে। সঠিক করোনা বিধি মেনে খোলা জায়গায় করা যাবে মেলা। বিয়ের অনুষ্ঠানেও ২০০ জনের উপস্থিতিতে ছাড়পত্র। ২০০ জন অথবা অনুষ্ঠান গৃহের ৫০ % উপস্থিতিতে ছাড়।
পাশাপাশি, করোনা আক্রান্তদের আইসোলেশনের ক্ষেত্রে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। যারা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তাঁদের জন্যও নয়া নির্দেশ রয়েছে।
এছাড়াও কীভাবে হোম আইসোলেশনে থাকবে হবে, কী কী নজরদারি করা উচিত তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলেই থাকতে হবে আইসোলেশনে। উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ থাকলেও থাকতে হবে আইসোলেশনে।
৭ দিনের বেশি টানা জ্বর থাকলে রোগীকে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ %-র নীচে থাকলে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। বুকে ব্যথা, মুখ-ঠোঁট নীল হয়ে গেলে ওয়ার্ডে বা আইসিইউ-তে ভর্তির পরামর্শ।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে পুরুলিয়ায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের হাতোয়াড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে শুক্রবার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই প্রবীণের কোভিডের দুটি টিকা নেওয়া ছিল বলে জানা গিয়েছে তবে তাঁর কো-মর্বিডিটি ছিল। যাকে বলে অন্যান্য ক্রনিক অসুখ l।
করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি তিনি অন্যান্য জটিল শারীরিক অসুখে ভুগছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।
এদিন তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শনাক্ত করেন। এরপর স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত নিয়মবিধি মেনেই বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দেহ সৎকার করা হয়েছে।
Advertisement



