বৃহস্পতিবার ঘোষিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্বের ফলাফল। এবার উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন রামকৃষ্ণ মিশন নরেন্দ্রপুর ও রামকৃষ্ণ মিশন পুরুলিয়ার ছাত্ররা। মেধাতালিকায় ৬৯ জনের মধ্যে ৫৫ জন এই দুই স্কুলের ছাত্র। এর মধ্যে ২৪ জন পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ এবং ৩১ জন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র। এই সাফল্যের কারণ জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রদের আগে থেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা অর্থাৎ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা, জেইই মেনস, জেইই অ্যাডভান্স, নিট ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়। সেই কারণে ওএমআর শিট ভিত্তিক এই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হতে তাঁদের অসুবিধা হয়নি।
এবারই প্রথম দেশের মধ্যে প্রথম কোনও রাজ্যে সেমেস্টার পদ্ধতিতে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রথম ওএমআর শিটে পরীক্ষা দিয়েছেন রাজ্যের পড়ুয়ারা। ছাত্রছাত্রীরা যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে পারেন সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই পরীক্ষায় ৫–১০ শতাংশ প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই প্রশ্নগুলি ছিল যথেষ্ট কঠিন। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ ও রেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক বেশি চর্চা করেন। আগে থেকেই তাঁদের এই সব পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়। সেই কারণে এই দুই স্কুল থেকে এত বেশি সংখ্যক ছাত্র মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পেরেছে। এবার যুগ্মভাবে যে দুই জন ছাত্র প্রথম স্থানাধিকারী হয়েছেন তাঁরাও রামকৃষ্ণ মিশন পুরুলিয়ার ছাত্র। তাঁদের নাম প্রীতম বল্লভ এবং আদিত্য নারায়ণ জানা৷ দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৯৭ শতাংশ।
পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এবার বেস্ট অফ ফাইভ অর্থাৎ সর্বাধিক নম্বর প্রাপ্ত যে কোন পাঁচটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে রেজাল্ট তৈরি করা হয়নি। পরীক্ষার্থীদের বাছাই করা প্রধান পাঁচটি বিষয়ের উপরেই নির্ভর করে রেজাল্ট তৈরি হয়েছে। পরীক্ষার্থী যে বিষয়টিকে অপশনাল বলে বেছে নিয়েছিল সেটির নম্বর বেশি হলেও তা যোগ করা হয়নি। তবে সেই বিষয়ের নম্বর রেজাল্টে উল্লেখ আছে। বেস্ট অফ ফাইভ ধরে রেজাল্ট প্রকাশ করা হলে মোট নম্বর আরও বৃদ্ধি পেত বলে জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।