আর মাত্র সপ্তা-খানেকের অপেক্ষা, এরপরই রাজ্য জুড়ে মহা সাড়ম্বরে পূজিত হবেন মা দুর্গা। উৎসবের প্রস্তুতিতে বিদ্যুৎ থেকে দমকল বিভাগের প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রতিবারের মত এবারও উৎসবের মরশুমে রাজ্য জুড়ে নির্মিত হচ্ছে অসংখ্য অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস।
দপ্তরের প্রস্তুতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, ‘বর্তমানে ১৬৬টি ফায়ার স্টেশন এবং অতিরিক্ত ১১টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন রয়েছে রাজ্যে। তবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের জন্য ৯৭টি অতিরিক্ত অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন নির্মিত হবে গোটা রাজ্যে। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের ২৫টি পুজো মণ্ডপে থাকবে কিয়স্ক, সেখানে অগ্নিনির্বাপণ নিয়ে প্রচারের মাধ্যমে জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।’ পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন কালীঘাট ফায়ার স্টেশনের কাজ সম্পূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পুজোর আগেই তার উদ্বোধন করবেন। অন্যদিকে, পাঁচ পাম্পের টালিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের কাজ চলছে যা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশ্বাস দমকলমন্ত্রীর।
Advertisement
মন্ত্রীর আরও ঘোষণা, আগামীতে রাজ্যে ২৫টি নতুন ফায়ার স্টেশন তৈরি হবে, যার পরিকল্পনাও সম্পন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে ওবিসি সংক্রান্ত আইনি জট কেটে গেলেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জন্য শুরু হবে নিয়োগও। এক্ষেত্রে ফায়ার অপারেটরের শূন্যপদ রয়েছে ১০০০টি, ড্রাইভারের শূন্যপদ রয়েছে ৩৭০টি, তাছাড়াও নিয়োগ হবে সাব অফিসারও। সুজিত বলেন, ‘কেবল নতুন ফায়ার স্টেশন তৈরিই নয়, তাতে কায়িক শ্রমেরও প্রয়োজন। তাই আইনি জট কাটলে দ্রুত নিয়োগ হবে। পাশাপাশি নতুন মোটরসাইকেল, বড় গাড়ি, রোবট-সহ বহুমূল্যের একাধিক আধুনিক যন্ত্রপাতিও ক্রয় করা হবে দপ্তরের জন্য।’
Advertisement
দপ্তরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে মন্ত্রী আরও জানান, ‘বিগত ১৪ বছরে ১০৯টি থেকে ১৬৬ টি ফায়ার স্টেশন তৈরি হয়েছে রাজ্যে। ২৪ ঘন্টা জীবনের বাজি রেখে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন আমাদের কর্মীরা, তাঁদের কুর্নিশ।’ উল্লেখ্য, বহু পুজো কমিটি মণ্ডপ সজ্জার জন্য দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে থাকে। সেক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নিয়েছে দমকল বিভাগ? মন্ত্রী সুজিত জানান, ‘১৯ সেপ্টেম্বর থেকে পুলিশ ও দমকল যৌথভাবে মণ্ডপগুলি পর্যবেক্ষণ করবে। পরিস্থিতি ভয়াবহ বুঝলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়াও আমরা প্রচারের মাধ্যমে পুজো কমিটিগুলিকে সচেতনতার পাঠ দিয়ে থাকি।’
Advertisement



