বিজেপি রাজ্যে ধৃত বাংলার ৯ শ্রমিক, প্রতিবাদ মহুয়ার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মারাত্মক অভিযোগ সামনে আনলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের ৯ জন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মহুয়ার দাবি। একে একধরনের অপহরণ বলেই মনে করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। শুধু মহুয়া নয়, বাংলার বাইরে গেলেই বাংলার মানুষকে হেনস্থা করছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি– এমনই অভিযোগ করে আসছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রতিবাদে বুধবার মিছিলেও হাঁটবেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার সঙ্গে মিছিলে যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কৃষ্ণনগরের বাঙালি শ্রমিকদের গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে সমাজমাধ্যমের এক ভিডিও বার্তায় গর্জে উঠেছেন এলাকার সংসদ মহুয়া। তিনি আরও অভিযোগ তুলেছেন, ৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক গ্রেপ্তার হলেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করেনি ছত্তীসগঢ় পুলিশ। এমন কি শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও মহুয়ার অভিযোগ। এই পদক্ষেপের জন্য ছত্তীসগঢ়ের বিজেপি চালিত সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।

জানা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের বস্তাবের আলবেরাপাড়ায় একটি বেসরকারি স্কুলের নির্মাণকাজে যুক্ত ছিলেন ওই নয় জন শ্রমিক। কর্মস্থল থেকে পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে মহুয়ার অভিযোগ। ওই শ্রমিকদের পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে মহুয়ার কাছে সাহায্য চায়। এরপরই ছত্তীসগঢ়ের এক আইপিএস অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহুয়া। তিনি জানতে পারেন, ওই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১২৮বি (পরিচয় গোপন করে অপারধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করেছে ছত্তীসগঢ় পুলিশ। আর এতেই বেজায় চটেছেন তৃণমূল সাংসদ।


মহুয়া জানিয়েছেন, ‘ন’জনকে বস্তারের পাশের জেলা জগদ্দলপুরের জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১২৮বি (পরিচয় গোপন করে অপারধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ) সরকার বা ধৃতদের পরিবার, কাউকেই এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি ছত্তীসগঢ় পুলিশ।’

সাম্প্রতিক অতীতে বাংলার বাইরে বাঙালিদের হেনস্থার খবর প্রায়ই সংবাদ সমাজমাধ্যমের শিরোনামে এসেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দেড় কোটি ভিনরাজ্যের মানুষ বাস করেন, তাঁদের কোনও সমস্যা হয় না। তাহলে বাংলার বাইরে গিয়ে কেন ২২ লক্ষ মানুষকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে? তা কি শুধু বাংলাভাষাইয় কথা বলার জন্যই? তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এভাবে চালতে থাকলে আগামী দিনে আরও বড় স্তরে প্রতিবাদ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।