ওমিক্রন মোকাবিলায় তৈরি থাকার নির্দেশ নবান্নের

আইসোলেশনে থাকার সময় গাইডলাই মাফিক নিয়ম মানতে হবে। কোভিড ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

Written by SNS Kolkata | December 25, 2021 11:03 pm

Let's go pandal hopping!

পশ্চিমবঙ্গেও ওমিক্রন আতঙ্ক। এ রাজ্যে পাঁচজন ওমিক্রন পজিটিভ, যার মধ্যে খাস কলকাতাতেই সংক্রমিত বিদেশ ফেরত তিনজন। করোনার সেকেন্ড ওয়েভের মতো ওমিক্রনের ঢেউ অচিরেই আছড়ে পড়তে পারে এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। তাই আর দেরি করতে চায় না নবান্ন।

শুক্রবার সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ওমিক্রন ঠেকাতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মুখ্যসচিব বলেছেন, ওমিক্রন যেভাবে রাজ্যে ঢুকে পড়েছে তাতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। আগামী ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তাই আর অপেক্ষা করার সময় নেই।

জেলায় জেলায় কোভিড টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মাস্ক বাধ্যতামূলক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যেভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল, সেইভাবে এখনও করোনা-বিধি আরও জোরদার করারই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

কলকাতায় ইতিমধ্যেই তিনজন ওমিক্রন আক্রান্ত। ব্রিটেন ও নাইজেরিয়া ফেরত দু’জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট ধরা পড়েছিল। তারপর আজ ডাবলিন ফেরত ২৭ বছরের এক যুবকের শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে।

মুখ্যসচিব বলেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ওমিক্রন-বিধি কার্যকর করতে হবে রাজ্যে। নবান্নের নির্দেশ, হাসপাতালে কোভিড বেড বাড়াতে হবে। রাস্তাঘাটে মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। মাস্ক না পরলেই আগের মতো কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে।

কোভিড টেস্ট , ট্রেসিং বাড়াতে হবে। আক্রান্তরা কতজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা কনট্যাক্ট ট্রেসিং করলেই জানা যাবে। প্রয়োজন পড়লে এলাকা চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা যেতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। কোভিড পজিটিভ ধরা পড়লেই আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আগেই বলেছিল, বিদেশ ফেরত কোভিড পজিটিভদের জন্য ১৪ দিনের আইসোলেশন বাধ্যতামূলক ।

আইসোলেশনে থাকার সময় গাইডলাই মাফিক নিয়ম মানতে হবে। কোভিড ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

তিনি বলেছেন, সময় অতিক্রম হওয়ার পরেও যাঁরা সেকেন্ড ডোজ নেননি বা পাননি, তাঁদের দ্রুত ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেক্ষেত্রে কতজন বাকি পড়ছে, কারা সেকেন্ড ডোজ নিচ্ছেন না তার একটা তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেন জেলাশাসকদের।

মুখ্যসচিব বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন না যাঁরা, তাঁদের কী ভাবে ডোজ নেওয়ানো যায় তার একটা পরিকল্পনা করা দরকার । সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজ নিতে পারেন। এতে টিকাকরণ প্রক্রিয়াও দ্রুত গতিতে হবে।