এনআইএ অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা এনআইএ–র আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআরের জন্য অনেকের নথি ‘ঠিক’ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তুলেছিলেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়েও টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। মাটিগাড়া থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্বে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃতদের নাম আহসান আহমেদ, রেহার বাবর ও মানিক রায়। আহসান ও রেহার পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে মানিক শিলিগুড়ির সেবক রোডের বাসিন্দা। তাঁরা নিজেদের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে শিলিগুড়ি ও তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ভয় দেখাতেন। তারপর তাঁদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতেন। খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের টার্গেট করতেন অভিযুক্তরা। এসআইআর আবহে এই অপরাধ প্রবণতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। এসআইআর নিয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতেন অভিযুক্তরা।
তারপর তাঁদের নথিপত্র ঠিক করে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবে অনেকের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা তোলা হয়েছিল। টাকা তোলার জন্য হুমকিও দেওয়া হত। মাটিগাড়া থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তদন্তে নামে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি। তিন অভিযুক্তের মোবাইলের লোকেশন অনুসরণ করে শনিবার তাঁদের হাতেনাতে ধরা হয়। তাঁদের কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল, বিভিন্ন নথির ফটোকপি ও একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি রাকেশ সিংহ জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নিজেদের এনআইএ আধিকারিক বলে পরিচয় দিতেন অভিযুক্তেরা। এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হতেই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকি অভিযুক্তদের ধরতে শুরু হয়েছে তল্লাশি।