ভারতীয় জলসীমা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। তাঁদের প্রথমে আটক করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সুন্দরবনের উপকূলীয় থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, তাঁরা পরিকল্পনামাফিক ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, নাকি ভুল করে সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বাংলাদেশের ফিরোজপুর অঞ্চল থেকে ওই ১৯ জন মৎস্যজীবী ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করেন। ভারতীয় জলসীমায় নজরদারির সময় বিএসএফ তাঁদের আটক করে এবং পরে স্থানীয় থানার হাতে তুলে দেয়। আপাতত তদন্তের স্বার্থে তাঁদের জেরা করা হচ্ছে।
Advertisement
ধৃতরা দাবি করেছেন, তাঁরা পেশায় মৎস্যজীবী এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করেছিলেন। তবে তাঁদের বক্তব্যে কতটা সত্যতা রয়েছে, তা নিয়ে সন্দিহান তদন্তকারীরা। কারণ এর আগেও দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে অনেকে সুন্দরবন সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। সেই কারণে গ্রেপ্তার হওয়া এই ১৯ জনের আসল উদ্দেশ্য নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
Advertisement
বিশেষত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ দেশ ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁদের অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যেই এই ধরনের অনুপ্রবেশ জাতীয় ঘটনা প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ধৃতদের কাছে পাসপোর্ট বা বৈধ নথিপত্র ছিল না। তাঁদের সঙ্গে ছিল মাছ ধরার জাল এবং নৌকা। তবে ঠিক কী উদ্দেশ্যে তাঁরা সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনই চূড়ান্তভাবে একে অনুপ্রবেশ বলা না গেলেও, ঘটনাটি যে সন্দেহজনক, তা মানছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও।
সার্বিকভাবে এই ঘটনায় ফের একবার সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি উঠে এসেছে আলোচনায়। বাস্তবিকই কি ভুলবশত সীমান্ত লঙ্ঘন, না কি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও বড়সড় উদ্দেশ্য, তদন্তের পরই তা স্পষ্ট হবে।
Advertisement



