• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বাজ পড়ে মৃত ১৭, দুর্যোগের সতর্কতা কলকাতাতেও

বাঁকুড়া থেকে আটজন, পূর্ব বর্ধমান থেকে পাঁচজন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে এক ও দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়াতেও একজন করে মারা গিয়েছেন।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। ধূসর মেঘের আড়াল থেকে অল্প রোদের দেখা মিললেও বেশ কয়েক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বজ্রপাতে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার ১৭জন। বাঁকুড়া থেকে আটজন, পূর্ব বর্ধমান থেকে পাঁচজন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে এক ও দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়াতেও একজন করে মারা গিয়েছেন। প্রচুর মানুষ আহত হওয়ার খবর মিলেছে। এছাড়াও আরও একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, পূর্বাভাস অনুযায়ী বাঁকুড়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কোতুলপুর, ওন্দা, ইন্দাস ও জয়পুর ও আরও অন্যান্য জায়গাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি প্রবল বজ্রপাতও হয়। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। আহত হয়েছেন দু’জন। প্রত্যেকেই বৃষ্টির মধ্যে মাঠে ধান রোপণ করতে গিয়েছিলেন। আর তখনই বাজ পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। বর্ধমানেও যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই কৃষি শ্রমিক।

Advertisement

উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী নিম্নচাপ অঞ্চল, যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে ধেয়ে এসেছে দুর্যোগের কালো মেঘ। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিন কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

Advertisement

বৃষ্টির রেশ অব্যাহত থাকবে সপ্তাহভর। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোতেও ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই সঙ্গে প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। শনিবার হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জানানো হয়েছে। রবিবারও একইভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। অর্থাৎ গোটা সপ্তাহ জুড়েই বৃষ্টির আবহাওয়া জারি থাকবে।

উত্তরবঙ্গে শুক্রবার জলপাইগুড়ি এবং কালিংপঙে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার দার্জিলিং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হবে। রবিবার দিনও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার কারণে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। তাই মৎস্যজীবীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে নীচু এলাকাগুলিতে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement