যাদবপুর কাণ্ডে ১৩ পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের খুনের মামলায় মোট ১৩ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তর। মৃত্যুর আগে তিনি যাঁদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের জেরা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৭ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনার দিন অনামিকা মদ্যপ ছিলেন কি না তা জানতে বৃহস্পতিবার ভিসেরা পরীক্ষার জন‍্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে একটি ঝিল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকার মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তদন্তে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে মোট তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলের কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, আশপাশে সিসিটিভি থাকলেও ঘটনাস্থলটি কোনও সিসিটিভির আওতায় নেই। সেই কারণে তার ফুটেজও মেলেনি। তবে চার নম্বর গেটের সামনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার দিন যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদের পর গার্ড এবং শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।

বুধবার ঝিল থেকে একটি জুতো উদ্ধার করা হয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেই জুতোটি অনামিকার। আজ, শুক্রবার আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেই জুতো শনাক্ত করবেন অনামিকার বাবা। তিনি গত সোমবার যাদবপুর থানায় গিয়ে এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, অনামিকাকে কেউ বা কারা ধাক্কা মেরে ঝিলে ফেলে খুন করেছেন। তাঁর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এবং হোমিসাইড শাখা। তবে পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অনামিকা ওইদিন একাই ঝিলের পাশে শৌচাগারের দিকে গিয়েছিলেন।