সােমবার সকাল প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ ভাইফোঁটার দিন মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মেদিনীপুর রাজ্য সড়কের দাসপুর থানার রামগড় চাতাল এর কাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে বনলতা নামে একটি বাস ঘাটাল থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার সময় দাসপুর থানার রামগড় চাতাল এর কাছে রাস্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। যার ফলে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে একজন বাস যাত্রী মারা যায়।
Advertisement
মৃত ব্যক্তির নাম মােবাইদুল মল্লিক। তার বয়স ২৫ বছর। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার মুকুন্দপুর গ্রামে। সেই সঙ্গে আহত হয় ১৫ জন বাস যাত্রী। আহত বাস যাত্রীদের উদ্ধার করে নাড়াজোলও ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাড়াজেল হাসপাতালে ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং ঘাটাল মহকুমা অসপাতালে ৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা সংকটজনক।
Advertisement
ওই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন ঘাটালের এসডিপিও অশ্বির চৌধুরী ও দাসপুর থানার ওসি সুদীপ ঘােষাল সহ পুলিশকর্মীরা। বাসটি উল্টে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভুটে এসে উদ্ধারের কাজ করে। বাসে প্রায় ৭০ জন বাস যাত্রী ছিল। বাসের চালক মােবাইল ফোনে কথা বলছিলো বলে বাস যাত্রীরা অভিযােগ করেন। যারফলে বাসটি উল্টে যায়। বাসটি উল্টে যাওয়ার পর বাসের চালক সহ বাসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযােগিতায় পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ওই ঘটনার ফলে প্রায় এক ঘন্টার বেশি দাসপুর মেদিনীপুর বাস রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে বসটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে পুলিশ। সেইসঙ্গে দাসপুর থানার পুলিশ মৃত বাসযাত্রী মােবাইলদুল মল্লিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দাসপুর থানার পুলিশ ওই বাস দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Advertisement



