বাংলার সর্বত্র যখন উৎসবের আলো ধীরে ধীরে নিভে আসছে , তখন চন্দননগর সেজে উঠছে উৎসবের সাজে। সৌজন্যে জগদ্বাত্রী পুজো। রবিবার পঞ্চমী। এদিন থেকেই আলোয় আলোকিত এই প্রাচীন শহর। মানুষের ঢল নামতেও শুরু করেছে। উৎসবে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আগেভাগেই আঁটসাঁট প্রশাসন। ভিড় ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ কড়া হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতেও নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা।
প্রাচীন এই শহরকে আগাপাশতলা মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। দুপুর থেকেই শহরে ঢোকার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুজোর কয়েকদিন নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য নো এন্ট্রি থাকবে রাস্তাঘাটে। আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকছে শহর জুড়ে। শুধু চন্দননগর নয় আশেপাশের জেলা থেকেও বাড়তি পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে শহরে। ৩০০তীর বেশি ক্যামেরায় নজরদারি চলবে।
পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেখানে নজরদারি চালাবে কমিশনারেটের আধিকারিকরা। দুপুর দুটো থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত থাকছে শহরে নো এন্ট্রি। বাইরের থেকে শহরে ঢোকার ৪৪ টি জায়গাতেই এই নো এন্ট্রি কার্যকর থাকছে। তাই সড়কপথে চন্দননগর যারা ঠাকুর দেখতে আসবেন ভাবছেন, শহরে ঢুকতে হবে দুটোর আগে।
এদিকে জগদ্বাত্রী পুজোর আবহেই চোখ পাকাচ্ছে নিম্নচাপ। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়ও। এর জেরে বাংলার একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুজোতেও তাই বৃষ্টিতে ভাসতে পারে চন্দননগর।