কৃষ্ণনগরের যুবতীর মৃত্যুর তদন্তে শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের টিম। দু’জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এসেছেন ঘটনাস্থলে। আনা হয়েছে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করার সরঞ্জাম, করা হচ্ছে ভিডিওগ্রাফি। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন ঘটনাস্থল। উপস্থিত রয়েছেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার কৃষ্ণনগরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ফরেন্সিক রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়।
Advertisement
অন্যদিকে, ওই তরুণীর মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। পোস্টে লেখা, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী। তোমরা সবাই ভালো থেকো। এই পোস্ট তরুণী করেছিলেন নাকি অন্য কেউ সেই নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ওই তরুণীর একটি ভয়েস ম্যাসেজ পুলিশ হাতে এসেছে। সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
যদিও তরুণীর মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে ধৃত যুবক ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে খুন করেছে। শুধু তাই নয়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, ওই তরুণী মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় একটি মুদিখানার দোকানে যায়। বাড়ি না ফেরায় ওই তরুণীকে ফোন করা হলে সে জানায়, রাস্তায় ধৃত যুবক ও তার বন্ধুদের সঙ্গে তিনি কথা বলছেন। এরপরও বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন। খোঁজখবর শুরু হয়। বুধবার সকালে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।
এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ধৃতকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, সিট গঠন করা হয়েছে। পরিবারের পাশে কৃষ্ণনগর জেলার পুলিশ সর্বদা ছিল, আছে এবং থাকবে।
অন্যদিকে, তরুণীর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সৌম্যজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মৃত্যুর পরে নয়, মৃত্যুর আগেই ওই তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তবে কোনও রাসায়নিক বা অ্যাসিড দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
Advertisement



