• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অনুমতি ছাড়াই মর্গ থেকে প্রশিক্ষণের জন্য মরদেহ সংগ্রহ করা হত

আরজি করের মর্গ নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানের

ফাইল চিত্র

আরজি কর হাসপাতাল যেন দুর্নীতির আতুড়ঘর। আর্থিক অনিয়মের পর এবার প্রকাশ্যে এল মর্গ দুর্নীতি। আরজি কর হাসপাতালের মর্গে দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুসন্ধানে এবার উঠে এসেছে নজিরবিহীন অভিযোগ। চিকিৎসক সোমনাথ দাসের দাবি অনুযায়ী, সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই এই অনিয়মগুলি হাসপাতালে রমরমিয়ে চলত।আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে সিবিআই শুক্রবার প্রাক্তন ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান সোমনাথ দাসকে তলব করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় হাসপাতালের অন্দরমহলের আসল সত্য। জবাবে সোমনাথ দাস অভিযোগ করেন, তিনি এ ব্যাপারে মুখ খুলতেই তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়।

তাঁর অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই মর্গ থেকে প্রশিক্ষণের জন্য মরদেহ সংগ্রহ করা হত। এসব ক্ষেত্রে পুলিশের বা মৃতদের পরিবারের কোনো অনুমতি নেওয়া হতো না। এই অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁকে বদলি করা হয়।
জানা গিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে একটি চিকিৎসক সংগঠন ফরেন্সিক বিভাগের কাছে প্রশিক্ষণের জন্য ময়নাতদন্তের দেহ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু সোমনাথ দাস সেই দেহ দিতে অস্বীকার করেন। এর কয়েক দিন পর, ২৮ ডিসেম্বর আচমকাই তাঁকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। পরে ৩০ ডিসেম্বর যখন পুনরায় দেহ চেয়ে চিঠি আসে, তখন মর্গ থেকে দেহ প্রদান করা হয়।

Advertisement

উল্লেখযোগ্যভাবে, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে জেলে বন্দি আছেন। চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার মামলা ছাড়াও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ কলকাতা পুরসভা তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে একটি নোটিস দিয়েছে, যেখানে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

Advertisement