অমিত শাহের মন্তব্যে চটেছিল বাংলাদেশের নব নির্বাচিত সরকার। অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই ঘটে বিপত্তি। এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে আসরে নামলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। গত মাসে হাসিনা সরকারের অপসারণের পর যা ছিল একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
এব্যাপারে বিদেশমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করেছেন। মঙ্গলবার তিনি লেখেন,’আজ সকালেই নিউ ইয়র্কে বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি নিয়ে আলোচনা হয়।’ জয়শঙ্কর তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টের সময় এই বৈঠকের মুহূর্তের একটি ছবিও পোস্ট করেন।
Advertisement
তবে এই বৈঠকের কথা শুধু যে ভারতের বিদেশমন্ত্রীই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, এমন নয়। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকও বিষয়টি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে। ওপার বাংলার বিদেশমন্ত্রক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে,’বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর আমেরিকাতে জাতিসঙ্ঘের বৈঠকের মাঝে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে একটি বৈঠক করেন।’
Advertisement
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর পরেই ঢাকাতে ভারতের হাই কমিশনের দপ্তরে ‘কূটনৈতিক প্রতিবাদ’ জানায় বাংলাদেশ। এর কয়েক ঘন্টা পরেই একান্তে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশে নির্বাচিত হাসিনা সরকারের উৎখাতের মাধ্যমে আকস্মিকভাবে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে। সেসময় সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক আক্রমণ ও হিংসার ঘটনার পরও ভারত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা একের পর আক্রমণ শানিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। বার বার ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছে। এমনকি গত মাসে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করা হয় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। তাদের অভিযোগ ছিল, ইচ্ছাকৃতভাবে ভারত থেকে জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রক সেই ভিত্তিহীন অভিযোগকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দেয়।
Advertisement



