• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফের মিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের, পথে নামলেন নার্স, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা

রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। পঞ্চমত, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার শহরজুড়ে হল মিছিল। ৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রবিরার তাঁরা সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত মিছিল করলেন। রবিবার বিকেলে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টির মধ্যেই চলে মিছিল। মিছিলে পা মেলান সাধারণ মানুষও। করা হয় মানববন্ধন। মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে বিচারের দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের স্লোগান, ‘আর্জি নয়, দাবি কর।’

রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও প্রতিবাদের তীব্রতা কমে যায়নি। ছাতা মাথায় দিয়েই মিছিলে হাঁটলেন নার্স, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী এবং শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা। যাদবপুর থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত মিছিল করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা। তাঁরা প্রত্যেকেই পুরুলিয়া সৈনিক স্কুলের প্রাক্তনী। রবিবার দুপুরে করুণাময়ী থেকে মিছিল করেন নার্সরা। তাঁরা কর্মস্থলে নিরাপত্তা চেয়ে পথে নেমেছিলেন। ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন স্কুলে প্রাক্তনীরা। স্কুলগুলির মধ্যে ছিল হেয়ার, হিন্দু, মিত্র ইনস্টিটিউশনের মতো স্কুলগুলি। অপরদিকে ওয়েলিংটন স্কোয়্যার থেকে আয়োজিত মিছিলে পা মেলান ক্যালকাটা গার্লস সহ কয়েকটি স্কুলের প্রাক্তনীরা।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতেও রাজ্যের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে গিয়েও ফিরে এসেছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে বসে আছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ জানান, তাঁদের দাবি পূরণে সদর্থক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মূলত পাঁচ দফা দাবিতে এই অভিযানে নামেন তাঁরা। দাবিগুলি হল, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। দ্বিতীয়ত, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে সঠিক বিচার করতে হবে। তৃতীয়ত, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। চতুর্থত, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। পঞ্চমত, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

Advertisement

Advertisement