• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

১ ঘণ্টা পার, কালীঘাটের বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী

কালীঘাটের বাড়িতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করলেও হাজির হননি তাঁরা।

মুখ্যমন্ত্রী এবং জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক নিয়ে ফের জটিলতা। কালীঘাটের বাড়িতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করলেও হাজির হননি তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের ভিডিয়োগ্রাফির দাবি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ঠিক হয়, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনে হবে বৈঠক।

Advertisement

সেই মতো সন্ধ্যায় কালীঘাটে পৌঁছে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকেননি তাঁরা। ভিডিওগ্রাফির দাবিতে অনড় থাকেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তার অর্ণব মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, কী কারণে আমাদের ভিডিয়োগ্রাফারকে অনুমতি দেওয়া যাবে না? বৈঠকের শেষে যাতে পুরো ভিডিয়ো আমাদের দেওয়া হয় সেই অনুরোধ করেছি।

Advertisement

ধরনাস্থলে গিয়ে মমতা বলেন, আমি আপনাদের আন্দোনকে কুর্নিশ জানাই। আমি ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। আমার পোস্টটা বড় কথা নয়, মানুষের পোস্টটাই বড় কথা। কাল সারা রাত আপনারা কষ্ট পেয়েছেন ঝড়-জলের মধ্যে, আমার কষ্ট হয়েছে। আমি ঘুমোতে পারিনি। আমি মানসিক ভাবে কষ্ট পেয়েছি। আমাকে পাহারাদার হিসেবে জেগে থাকতে হয়। আর কষ্ট না করে যদি কাজে ফিরতে চান, আমি আপনাদের সবগুলো দাবি দেখব।

জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও এদিন স্পষ্ট করে দেন মমতা। তাঁর কথায়, কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আপনাদের সহযোদ্ধা হিসেবে ধর্নামঞ্চে এসেছিল। আপনারা বিশ্বাস-ভরসা রাখলে সব আস্তে আস্তে করব। মুখ্যমন্ত্রী নই, দিদি হিসেবে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা আমাদের ভাই-বোন। বড় দিদি হিসেবে এখানে এসেছি।

Advertisement