দুই সেনা আধিকারিকের পরিচিত এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। একই সঙ্গে ওই দুই সেনা আধিকারিককে হেনস্থার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে।
গত মঙ্গলবার রাতে ওই দুই সেনা আধিকারিক এবং তাঁদের দুই বান্ধবী ছোটি জাম ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। হঠাৎই একদল লোক পিস্তল আর লাঠি নিয়ে তাঁদের ঘিরে ধরে। সেনা আধিকারিক দুজনকে বেধড়ক মারে তারা। ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না পেলে ছাড়া হবে না, এই বলে আটকেও রাখা হয় তাঁদের। একজন আধিকারিক এবং তাঁর বান্ধবীকে গিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়।
Advertisement
আহত আধিকারিক সোজা কম্যান্ড সেন্টারে যান এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ঘটনাটা জানান। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এবং সেনা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে।
Advertisement
আহত আধিকারিক এবং তাঁর বান্ধবীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা করে ডাক্তাররা জানান, একজন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যথোপযুক্ত ধারা অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দু’জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্তের সন্ধান চলছে।
এই ঘটনায় বিপুল জনরোষ তৈরি হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অভাব নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে দুষছে বিরোধী কংগ্রেস। লোকসভার সাংসদ ও বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, সমগ্র সমাজকে লজ্জায় ফেলবার জন্য এই একটা ঘটনাই যথেষ্ট। অপরাধীদের ঔদ্ধত্যের জন্য বিজেপি সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, “দুই সেনা আধিকারিকের উপর হওয়া হিংসাত্মক আক্রমণ এবং তাঁদের বান্ধবীকে ধর্ষণের ঘটনা লজ্জাজনক।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশেরই উজ্জয়নীতে ঘটে যায় আরেক লজ্জাজনক নারী নির্যাতনের ঘটনা। কর্মব্যস্ত রাস্তার লাগোয়া ফুটপাতে ধর্ষণ করা হয় এক মহিলাকে। বাধা দেওয়া দূর অস্ত, পথচারীরা উলটে তারিয়ে তারিয়ে মর্মান্তিক এই দৃশ্য ‘উপভোগ’ করছিলেন। ভিডিও-ও করেন একজন। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারীর বক্তব্য, রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে ১৮ জন মহিলা ধর্ষণ বা হেনস্থার শিকার হন। মধ্য প্রদেশে ‘জঙ্গলরাজ’ চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।
Advertisement



