• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

হাওয়ালা পথে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সন্দীপদের, বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস ইডির

সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং জমিজমা-সংক্রান্ত দলিলও যাচাই করে দেখছে ইডি।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হওয়া আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগে সম্প্রতি প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তদন্তে নেমেছে ইডিও। এই তদন্তেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি জানিয়েছে, বেআইনিভাবে পাওয়া টাকা বাংলাদেশে হাওয়ালা পথে পাঠানো হত রিয়াল এস্টেটে বিনিয়োগের জন্য।

ইডি-সূত্রে তদন্তে পাওয়া তথ্যপ্রমাণ থেকে উঠে এসেছে দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নাম। এঁরা রিয়াল এস্টেট ব্যবসায় আগ্রহী এবং সম্প্রতি বেশ কয়েকবার কলকাতায় এসে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়াও, ইডি গত সপ্তাহে স্বপন সাহা নামে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করেছে। স্বপন কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় ইডি সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডির সন্দেহ, এই সোনা দুবাই থেকে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে চোরাচালান হয়ে এখানে এসেছে।

Advertisement

ইডি স্বপনের নামে একটি সুও মোটো এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট (ইসিআইআর) ফাইল করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বপনের নামে একাধিক ভুয়ো সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যাদের নাম ব্যবহার করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসার দ্রব্যাদি বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজের টেন্ডার পেতো সে।

Advertisement

ইডি জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের আয়ের নিরিখে মোট সম্পত্তির আর্থিক মূল্যের অসঙ্গতি রয়েছে। কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট, ক্যানিং-এ একটি বিলাসবহুল কোটি টাকার বাংলো সমেত তাঁর আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা। সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং জমিজমা-সংক্রান্ত দলিলও যাচাই করে দেখছে ইডি। এই তদন্তে ইডিকে সঙ্গত করছে সিবিআইও।

Advertisement