দুর্গাপুজোর আর ৪০ দিনও বাকি নেই। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে তিলোত্তমা উত্তাল না থাকলে এতদিনে সারা শহরজুড়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে যেত। তবুও, বাঙালির সব থেকে বড়ো উৎসব থেমে তো আর থাকবে না – হাজার বিষাদের মধ্যেও বুক বেঁধে নিজেদের দুঃখগুলো ভুলতে পথে নামতেই হবে। হয়তো জৌলুস কিছু কম হবে, তবুও আশ্বিনের শারদপ্রাতে তো বেজে উঠবেই আলোকমঞ্জীর!
সেই পুজোর দিনগুলো যাতে জনসাধারণের নির্বিঘ্নে কাটে, নিরুপদ্রবে সাঙ্গ হয়, তার জন্য প্রশাসন নিজেদের দায়িত্ব পালনের কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুজো কমিটির সঙ্গে চলছে প্রশাসনিক বৈঠক। সম্প্রতি জয়নগরের টাউন হলে এমনই এক বৈঠক সারলেন জয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত ইনস্পেক্টর রাকেশ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে আঞ্চলিক পুজো কমিটির কর্তা-ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জয়নগর-মজিলপুর পৌরসভার আধিকারিকরাও।
Advertisement
বৈঠকে জানানো হয়, প্রতিটা প্যান্ডেলে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো আবশ্যিক। জয়নগরের ১৪২টি প্যান্ডেলে বাধ্যতামূলকভাবে সিসিটিভি-র পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মহিলা স্বেচ্ছাসেবক রাখবার নির্দেশও দেওয়া হয় পুজো কমিটিগুলোকে। এছাড়াও যেন প্রতিটি মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, জল, বালি মজুত রাখা হয়, মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। মহিলাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রেখে রাতের বেলা বাড়তি পুলিশি প্রহরার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
Advertisement
Advertisement



