ফের নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যে! মালদহ জেলায় এক নাবালিকাকে হাসপাতালের কাজ শেখানোর অছিলায় ধর্ষণের অভিযোগ এক হাতুড়ে ডাক্তারের নামে। হবিবপুর অঞ্চলে ঘটা এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গণপ্রহার করা হয় অভিযুক্ত ডাক্তারকে।
সূত্র মোতাবেক খবর, গত ছয় মাস ধরে সমানে ওই নির্যাতিতা নাবালিকাকে কাজ শেখাতে পাঠানোর জন্য তার বাবাকে চাপাচাপি করতে থাকে অভিযুক্ত হাতুড়ে। মত দেওয়ায় যে এরকম বিপত্তি ঘটবে, কে জানতো? ইঞ্জেকশন দেওয়া, স্যালাইনের চ্যানেল করা ইত্যাদি কাজ শিখে স্বাবলম্বী হবে মেয়ে, এমনটা ভেবেই নির্যাতিতার বাবা মেয়েকে কাজে পাঠান। সেই সুযোগের অপব্যবহার করে সেই ডাক্তার এবং ধর্ষণ করে সেই নাবালিকাকে – এমনটাই অভিযোগ।
Advertisement
ঘটনার কথা স্থানীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। উত্তেজিত জনতা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়; অভিযুক্তকে গাছের গায়ে বেঁধে গণপ্রহার করা হয়। ইতিমধ্যে হবিবপুর থানায় দায়ের করা হয় ঘটনাটির লিখিত অভিযোগ, যার ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছোয়। গুরুতরভাবে জখম অভিযুক্তকে ক্ষিপ্ত জনগণের থেকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ব্যবস্থা হয় নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোরও। নির্যাতিতার জবানবন্দীও নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
Advertisement
আরজি কর কাণ্ডের জেরে এখনো উত্তপ্ত বাংলা তথা সমস্ত দেশ। অথচ, এহেন ঘটনা বার বার প্রমাণ করে দিচ্ছে, নারী সুরক্ষা যে কত বড়ো প্রহসন। বয়স, কাপড়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ – নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে এসব কিছুই এসে যায় না – এসে যায় শুধুই তার লিঙ্গ পরিচিতি।
Advertisement



