মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান উপলক্ষ্যে সাঁতরাগাছিতে অবরোধকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়া হয়, পুলিশ পালটা লাঠিচার্জ করে অবরোধ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ঢিলে র্যাফের একজন পুলিশকর্মীর মাথা ফাটে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ক্রমাগত ইট-পাটকেল ছোঁড়া হচ্ছে, আরও কিছু পুলিশকর্মী আহতও। সাঁতরাগাছি স্টেশনে রেল চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।
হাওড়া ব্রিজেও বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস আর লাঠিচার্জকে হাতিয়ার করে পুলিশ শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছে।
Advertisement
ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীদের আটকাতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করছে পুলিশ – ব্যারিকেডে লাগানো হচ্ছে গ্রিজ, মোবিল এবং তেল, যাতে ব্যারিকেড চেপে ধরতে গেলে হাত পিছলে যায়।
Advertisement
সর্বত্র মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে পুলিশের তরফে, মিছিল যেন সুশৃঙ্খলভাবে করা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া না হয়।
অন্যদিকে, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের সামনের রাস্তা, অর্থাৎ হাজরা রোড আটকে যানচলাচল এবং লোকচলাচল সম্পূর্ণভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে, বন্ধ কালীঘাট ব্রিজও। সেখানেও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশি পাহারা।
কড়া নিরাপত্তাবলয় সর্বত্র। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নবান্নের দিকে যেতে গেলেই পুলিশকে দেখাতে হচ্ছে সচিত্র পরিচয়পত্র। যথাযথ পরিচয়পত্র ছাড়া নবান্নে মঙ্গলবার কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে নবান্ন অভিযান কর্মসূচির পাশে দাঁড়ালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, তিনি প্রথমে বিধানসভায় যাবেন, সেখান থেকে হাওড়ায় যাবেন। পুলিশ বাধা দিলে তিনি অবরোধ করবেন, এমনটাও বলেন। বিক্ষোভ-আন্দোলনে যেসব ছাত্র গ্রেপ্তার হবেন, তাঁদের দিকে সমস্তরকম আইনি সাহায্য বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর পুলিশ অত্যাচার চালায়, তিনি তাহলে বুধবার ‘রাজ্য স্তব্ধ করে’ দেবেন।
Advertisement



