বেশ কিছু মানুষের মধ্যে নানা ধরনের ভীতি কাজ করে। ধরুন শরীরে কোনো অঙ্গে একটু ব্যথা হচ্ছে ব্যাস, সেই থেকে তিনি ভাবতে শুরু করলেন এটা কোনো বড় অসুখে দাঁড়িয়ে যাবে না তো? ভেতরে কোনো কঠিন অসুখ বাসা বাধেনি তো ? তার মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হল হার্ট। প্যালপিটিশন বা বুকের ধুকধুক নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক দুশ্চিন্তা থাকে। প্রায়ই সবার মনে প্রশ্ন জাগে হার্টের বড় অসুখ হলো কি না? তাই বেশি আগ্রহ সহকারে হার্টের ডাক্তারের কাছে যওয়া, ঘন ঘন ইসিজি করানো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
মানুষের মধ্যে কম-বেশি মৃত্যুভয় থাকতেই পারে কিন্তু তাই বলে অহেতুক মৃত্যুভীতি স্বাভাবিক নয়। অনেক লোক আছে যারা মৃত্যুভীতির কারণে লাশ, অ্যাম্বুলেন্স, লাশের ছবি, এমনকি লাশ রাখার খাট দেখলে একদমই সহ্য করতে পারে না, ভিতরে কেঁপে ওঠে, অস্থির হয়ে ওঠে দম আটকে যায়, মনে হয় এখনই দম বের হয়ে যাবে। এ কারণে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলাফেরার ব্যাঘাত ঘটে, এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত দেখতে পারে না।
Advertisement
সুমনের (ছদ্মনাম) বয়স ২৭ বছর। তার হঠাৎ বুক ধড়ফড় করা শুরু হয়। নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় তখন। এর সঙ্গে যোগ হয় হাত-পা অবশ হয়ে আসা, বুক ব্যথা করা। ক্রমশ তার হাত-পা ঠান্ড হয়ে আসছিল। মনে হয় এখনই মরে যাবে। আসলে এটি একটি টেনশন বা অস্থিরতা গ্রুপের রোগ যাকে আমরা প্যানিক ডিজঅর্ডার বলে থাকি।
Advertisement
Advertisement



