বেঙ্গালুরু, আগস্ট ১, ২০২৪: মণিপাল হাসপাতালের একটি বিশেষ হৃদয়গ্রাহী এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন, “নিরাময়ের শক্তি, দ্য পাওয়ার টু হিল”। ক্যান্সার জয়ী সেই সমস্ত মানুষদের সম্মান জানায় যাঁরা ক্যান্সারকে হারিয়ে সফলভাবে বাঁচার পথ আবিষ্কার করেছেন। এখানে তাঁরা তাঁদের জীবনের কঠিনতম সেই অগ্নিপরীক্ষার অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন যার মাধ্যমে তাঁরা বেঁচে থাকার ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলে কিভাবে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। তাঁরা সকলেই জোর দিয়েছিলেন যে দৃঢ়সংকল্প এবং বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছা এমন একটি উপায়, যা এই ভয়াবহ পরিস্থিতি অতিক্রম করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্যান্সারের যত্নে মণিপাল হাসপাতালের ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের সাফল্যের হার বিবেচনা করে, হাসপাতালটি একটি প্লাটফর্মের আয়োজন করেছিল। যেখানে অনকোলজির অধীনে ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য এবং তাঁদের ডাক্তারদের প্রতি তাঁদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য একটি সুযোগ পান।
Advertisement
এই ইভেন্টে সেই সমস্ত মানুষদের অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যম, যাঁরা টিস্যু এবং হাড়ের সারকোমা, স্তন ক্যান্সার, লিউকোমিয়া (ব্লাড ক্যান্সারের একটি রূপ), হজকিন্স লিম্ফোমা (লিম্ফ সিস্টেমে ক্যান্সার), এবং রেটিনোব্লাস্টোমা (চোখের ক্যান্সার যা রেটিনা থেকে শুরু হয়) এর মতো বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে জিৎ হাসিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে, একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য উদাহরণ পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের বাসিন্দা শ্রী সন্দীপ কুমার বসু (৭০ বছর বয়সী)। যিনি সারকোমা জয় করেছেন। ২০২০ সালে, শ্রী বসু তাঁর হাঁটুর ওপরের দিকে একটি ফোলা অংশ দেখতে পান, স্থানীয় ক্লিনিকে সেটি দেখালে তাঁরা সেটিকে একটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হিসাবে নির্ণয় করেন। এরপর আরও গভীরভাবে জানার জন্য তিনি বেঙ্গালুরু যান এবং মণিপাল হাসপাতাল, ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের অর্থোপেডিক অনকোলজি-র প্রধান পরামর্শদাতা ডাঃ শ্ৰীমন্থ বি এস-এর সঙ্গে দেখা করেন। চিকিৎসকের পরামর্শে এরপর আলট্রা সাউন্ড, এমআরআই, পিইটি স্ক্যান এবং ইমেজ-গাইডেড বায়োপসি সহ একাধিক পরীক্ষার পর, সেটি হাঁটুর জয়েন্টের ভিতরে এবং বাইরে অবস্থিত একটি বিরল এবং আক্রমণাত্মক নরম টিস্যু ক্যান্সার হাইগ্রেড লিওমায়োসারকোমা হিসেবে চিহ্নিত হয়।
Advertisement
এই রোগের খবরটি শ্রী সন্দীপ এবং তাঁর পরিবারের কাছে ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ ছিল। ডাঃ শ্রীমন্থ এবং তাঁর দল সার্কোমাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণের একটি ব্যাপক চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন। অস্ত্রোপচারের পর, ডাঃ শ্রীকান্ত ভি, কনসালট্যান্ট – প্লাষ্টিক রিকন্সট্রাক্টিভ এন্ড কসমেটিক সার্জারি, অস্ত্রোপচারের ক্ষত মেরামত করতে এবং রক্ত সরবরাহ সংরক্ষণের জন্য নীচের পা থেকে একটি জটিল ফ্ল্যাপ পুনর্গঠন করেন, যা অপারেশন পরবর্তী পর্যায়ে বিকিরণ পদ্ধতি নেওয়ার জন্য জায়গাটি তৈরি করতে সক্ষম করে।
ওখানের সমস্যা সমাধান হলেও পরবর্তী বছরগুলিতে, বিভিন্ন স্থানে নতুন টিউমার আবির্ভূত হওয়ায় সন্দীপ আরও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। তবুও, তিনি সফলভাবে প্রতিটি পুনরাবৃত্তির সাথে লড়াই করেছেন এবং এখন রোগমুক্ত জীবন উপভোগ করছেন। বছরের পর বছর চিকিৎসার পরে একটি স্বাধীন জীবনযাপন করছেন। তাঁর স্বাস্থ্য এবং সুখ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শ্রী বসু ডাক্তার শ্রীমন্থ এবং তাঁর দলের প্রতি তাঁদের ব্যতিক্রমী যত্নের জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এরপর ক্যান্সার জয়ী নানান মানুষদের তাঁদের এই রোগের সঙ্গে লড়াই করার এবং তাঁদের জীবন পুনরুদ্ধার করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়েছিল। ক্যান্সার এখন আর কোনও ভয়ঙ্কর শব্দ নয়, আপনি ক্যান্সারকে জয় করতে পারেন।
আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন: ১৮০০ ২০৩ ২৯৯৯
Advertisement



