সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে এক ওয়েবসাইটে রোহিত রাজ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় শ্রেষ্ঠার। রোহিত নিজেকে আইআরএস অফিসার হিসাবে পরিচয় দেন। তাঁকে দেখে মুগ্ধ হন শ্রেষ্ঠা। ঠিক করেন রোহিতের সঙ্গেই বাকি জীবন কাটাবেন। ধুমধাম করে বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু তার পরই শ্রেষ্ঠার জীবনের গল্প বদলে যায় ।
এরপর ধীরে ধীরে শ্রেষ্ঠা জানতে পারেন, তাঁর স্বামী আইআরএস অফিসার নন। বাপের বাড়ি ফিরে আসেন শ্রেষ্ঠা। শুরু হয় বিবাহবিচ্ছেদ মামলা। সেই সঙ্গে রোহিতের নামে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন শ্রেষ্ঠা।পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে শ্রেষ্ঠা একা নন, আরও অনেকেই রোহিতের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। এ ভাবেই ভুয়ো পরিচয় দিয়ে অন্যদের থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি । গাজিয়াবাদে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শ্রেষ্ঠা সফল ভাবে আইপিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তার পর শুরু করেন পুলিশের চাকরি। আগেও অনেক বার তাঁর নাম সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। রাজ্যের শাসকদলের ‘দাদাগিরি’র বিরুদ্ধে একাধিকবার রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। যার জন্য বদলিও হতে হয়। তবে এত কিছুর পরেও দমে না গিয়ে নিজের কর্তব্যে স্থির ছিলেন। তবে এখনও দমে যাননি এই ডাকাবুকো পুলিশ অফিসার। ফের নতুন উদ্যমে শুরু করেছেন সংগ্রামী জীবন।
Advertisement
Advertisement



