রবিবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার বলেন, “জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করছি সম্মেলনের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে।”
আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের বিশিষ্ট রাষ্ট্রনেতারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। ভারতে আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রমুখ। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে এক বিবৃতিতে রাশিয়া সরকার জানিয়েছে। এই সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয় শেখ হাসিনাকেও। তবে তিনি আসবেন কি না, তা নিশ্চিত ছিল না। রবিবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জানালেন, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
উল্লেখ্য, এর আগে সম্প্রতি ব্রিকস সম্মেলনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা। তবে সেই সময়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি।
Advertisement
রবিবার কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শহিদ দিবস পালিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ তথা বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের নেতা মেহবুবুল আলম হানিফ । এছাড়াও বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত বুধবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে অবতরণ করেছে ভারত। চন্দ্রযান-৩ মিশনের এই সাফল্যের জন্যও অভিনন্দন জানান ডেপুটি হাইকমিশনার। তিনি বলেন, “চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে আমরা ভারতের জন্য গর্বিত।”
ভারত ১ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত জি-২০-র সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনি জোর দিয়েছেন ঐক্যবদ্ধতার উপর। সেই কারণে জি-২০ সামিটের স্লোগান হয়েছে , ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। বিশ্বের ১৯টি ধনী দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত জি -২০।
Advertisement



