মােদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়ছে অমিত শাহের। ক্যাবিনেট কমিটির মধ্যে আটটিতে দায়িত্ব পেয়েছেন অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নিজে রয়েছেন ছটিতে। রাজনাথ সিংয়ের হাতে রয়েছে মাত্র দুটি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ পেয়েছেন ৭টি কমিটির দায়িত্ব এবং রেলমন্ত্রী পীযুষ গােয়েলের হাতে রয়েছে ৫টি।
প্রথম দফায় মােদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সরিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে আনা হয়েছে রাজনাথ সিংকে। রাজনাথকে এবার দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ও আর্থিক বিষয়ক কমিটিতে। তবে তিনি কেন রাজনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি থেকে বাদ পড়লেন সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে থাকে এই কমিটি।
Advertisement
কমিটির মধ্যে রয়েছেন নীতিন গড়কড়ি, নরেন্দ্র সিং তােমার, রবি শঙ্কর প্রসাদ, হর্ষবর্ধন, প্রহ্লাদ যােশী, রাম বিলাশ পাসােয়ান এবং হারসিমরত কৌর বাদল। এনডিএ শরিক শিবসেনার সদস্য অরবিন্দ সাওয়ান্ত জায়গা পেয়েছেন কমিটিতে।
Advertisement
নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির পরই শপথ নেন রাজনাথ সিং। স্বভাবতই ধরা হয় তিনিই হবেন মন্ত্রিসভার নম্বর ২। তাঁর ওপর সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরের সময় তার ওপর সরকার চালাবার দায়িত্ব থাকে। কিন্তু রাজনাথকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। নির্মলা সীতারমণকে রাজনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিটিতে রাখা হয়েছে।
অর্থ বিষয়ক কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। কমিটিতে রাজনাথ সিং ছাড়াও রয়েছেন নীতিন গড়কড়ি, অমিত শাহ, পীযুষ গােয়েল নির্মলা সীতারমণ এবং সদানন্দ গৌড়া। সেই সঙ্গে রয়েছেন নরেন্দ্র তােমার এবং রবি শঙ্কর প্রসাদ।
সংসদ পরিচালনা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটিতে রয়েছেন অমিত শাহ, নিমলা সীতারমণ, নরেন্দ্র সিং তােমার, রবি শঙ্কর প্রসাদ, রাম বিলাস পাসােয়ান, গেহলট, প্রকাশ জাভেদকর এবং যােশী।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, সীতারমণ এবং জয়শঙ্কর। এছাড়া রয়েছে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নতুন কমিটি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।
Advertisement



