মস্কো,১৬ মার্চ– ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পর থেকে নিজের দেশেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমদিকে সাফল্য পেলেও পরে পিছু হঠতে বাধ্য হয় রুশ সেনা। যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবল অসন্তোষ দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। দেশের মধ্যেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুতিন প্রশাসন। প্রেসিডেন্টের বিরোধী শিবিরও ইউক্রেন আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। সেই জন্য একাধিক ধর্মীয় ও সমাজকর্মী সংস্থাকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে।
কিন্তু এই বিরোধিতাকে মোটেই প্রশ্রয় দিতে রাজি নন মস্কো প্রধান পুতিন। তাই তিনি এবার দেশের অন্দরে বিরোধীদের কড়া হাতে দমন করার বার্তা দিলেন। সাফ জানিয়ে দিলেন, রুশ সমাজে যারা অস্থিরতা তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। অর্থাৎ পরোক্ষ ভাবে তিনি জানালেন যারা যুদ্ধের বিরোধিতা করছে তাদের রক্ষে নেই।
Advertisement
একদিকে গত কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা বাড়ানোর কথা পুতিনের মুখে শোনা গেলেও অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুশ অর্থনীতি। যুদ্ধের খরচের পাশাপাশি একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে রাশিয়ার উপরে। তার জেরে কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাণিজ্য। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সব মিলিয়ে ঘরে-বাইরে যথেষ্ট চাপে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার মধ্যেই প্রশাসনিক কর্তাদের বৈঠকে পুতিন সাফ জানিয়ে দেন, যুদ্ধ বিরোধিতার নামে আসলে দেশে অরাজকতা চলছে। সমাজের স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে। বৈঠকে পুতিন বলেন, “দেশের সমাজ ও রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করতে যারা উঠেপড়ে লেগেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। কট্টরবাদীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রশাসনকে আরও কড়া হতে হবে।”
Advertisement
Advertisement



