• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

উদ্ধবের অনুগামীরা বিধায়ক থাকতে পারেন না, দাবি সিন্দে গোষ্ঠীর 

মুম্বাই,১ মার্চ — গতমাসেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রথমে বাবা বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি দল এবং পার্টির প্রতীক হারান উদ্ধব ঠাকরে। এমনকি দলের আর্থিক ক্ষমতাও নিজের হাতে নেওয়ার দাবি করেন সিন্দে। এবার বিধায়কের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফেলল শিন্ডের অনুগামীরা। সুপ্রিম কোর্ট উদ্ধব অনুগামী বিধায়কদের সদস্যপদের বৈধতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মত, উদ্ধবের সঙ্গে

মুম্বাই,১ মার্চ — গতমাসেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রথমে বাবা বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি দল এবং পার্টির প্রতীক হারান উদ্ধব ঠাকরে। এমনকি দলের আর্থিক ক্ষমতাও নিজের হাতে নেওয়ার দাবি করেন সিন্দে। এবার বিধায়কের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফেলল শিন্ডের অনুগামীরা। সুপ্রিম কোর্ট উদ্ধব অনুগামী বিধায়কদের সদস্যপদের বৈধতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মত, উদ্ধবের সঙ্গে থাকা বিধায়কেরা দলত্যাগ বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাঁরা আর বিধায়ক থাকতে পারবেন না।

শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের রায়ে প্রতিফলিত হলে উদ্ধব ঠাকরে রাজনৈতিকভাবে আরও বিপাকে পড়বেন সন্দেহ নেই। পরিস্থিতি আঁচ করে তিনি বাবা বালা সাহেবের স্মৃতিকে পুঁজি করে ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক ধাক্কা খেয়ে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের পরামর্শ মেনে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্ধব। ঠিক করেছেন জেলা সফরে বেরিয়ে বালা সাহেব ঠাকরের সঙ্গী ও তাঁদের অনুগামীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাঁর ঘনিষ্ঠরাও মনে করছেন, বালা সাহেবের স্মৃতিই গেম চেঞ্জার হতে পারে।

Advertisement

গতমাসে দলের নাম ও প্রতীক হাতছাড়া হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন উদ্ধব। শীর্ষ আদালত কমিশনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে দল তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই তাঁর সামনে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে তাঁর সঙ্গে থাকা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে।

Advertisement

মহারাষ্ট্রে শিবসেনার বিরোধ নিয়ে মূল মামলাটির শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে। শুনানিতে গত বছর জুনে মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডে সরকার গড়ার পর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ভোটাভুটির দিনে শিবসেনার ৫৪ বিধায়কের মধ্যে ১৪জন বিপক্ষে ভোট দেন।

প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ওই বিধায়কেরা দলের হুইপ অমান্য করেছেন। দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুসারে যা বেআইনি। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, আগের মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। পরিবর্তে একই দলের আর একজন মুখ্যমন্ত্রী হন। তাহলে সেই দলের বিধায়কেরা হুইপ অমান্য করে নতুন সরকারের পক্ষে ভোট দিলেন না কেন?

শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, সরকারের মাথায় যিনিই বসুন না কেন, বিধানসভায় বিধায়কদের দলীয় পরিচিতি তাতে বদলে যায় না। শিবসেনার বিধায়কেরা নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে মানতে বাধ্য। কারণ পরিষদীয় দল একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছিল। তিনি শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।

Advertisement