বুধবারই সংসদ উত্তাল উঠেছিল ‘অসংসদীয় শব্দ’-এর তালিকা নিয়ে। দল নির্বিশেষে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সাংসদদের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে শব্দ তালিকা।
অবশ্যই কি বলা যাবে, কি বলা যাবে না তার তালিকা। আর শুক্রবার ফের আরেক নির্দেশ নিয়ে উত্তাল সংসদ। এবার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ধর্না, বিক্ষোভ।
Advertisement
এই আসন্ন অধিবেশন থেকে সংসদ চত্বরে সাংসদরা কোনও ধর্না, বিক্ষোভ করতে পারবেন না। এমনকি কোনরকম অনশন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানও করা যাবে না বলে নির্দেশ জারি করেছে রাজ্যসভার সচিবালয়।
Advertisement
উল্লেখ, আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনের আগেই একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে সাংসদদের জন্য। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল সংসদ জুড়ে।
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে টুইট করে লেখেন, ‘বিশ্বগুরুর নতুন নিয়ম— ধর্না মানা হ্যায়’।
বুধবার লোকসভা সচিবালয়ের তরফে ‘লজ্জিত’, ‘অপব্যবহৃত, ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘নাটক’, ‘ভণ্ডামি’র মত শব্দ। এছাড়াও ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘তানাশাহ’, ‘তানাশাহী’, ‘জয়চাঁদ’-এর মত শব্দগুলি ব্যান করে ঘোষণা করা হয় ‘সাংসদরা এই শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না সংসদ চত্বরে।’
সেই বিতর্ক থামেনি এখনো এরই মাঝে ফের নতুন ফতেয়া জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার তুঘলকি সিদ্ধান্ত চালাতে চাইছে বলেই মত বিরোধী দলগুলির। করা হল। যা নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেছে।
Advertisement



