বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে বসেছিল চাঁদের হাট। এদিন এই মঞ্চ থেকেই বারুইপুরে টেলি আকাদেমি কমপ্লেক্সের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই আশ্বাস দিলেন টেলি ইন্ডাস্ট্রির যে কোনও সমস্যায় পাশে থাকার।
মমতা বলেন, টেলি ইন্ডাস্ট্রি এখন আর শুধু বিনোদন নয়, এর উপর নির্ভর করছে অর্থনীতির একটা বড় অংশ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বারুইপুরের টংতলায় টেলি আকাদেমি কমপ্লেক্সে টেলিভিশনের উন্নতমানের পরিকাঠামোয় শ্যুটিং-এর জন্য দশ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
Advertisement
১৩২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছে টেলি আকাদেমি। পূর্ব ভারতের অন্যতম শ্যুযিং জোন হিসেবে এই টেলি আকাদেমি প্রতিষ্ঠা পাবে বলে ধারণা মুখ্যমন্ত্রী। এই আকাদেমিতে প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সব ধরনের শ্যুটিং হবে।
Advertisement
তাঁর আশা, এখানকার ধনধান্য স্টেডিয়ামটির কাজ দু-এক মাসের মধ্যে শেষ হবে। বিশ্ববঙ্গ মিলনমেলর কাজও দ্রুত শেষ করা হবে। এখানকার ইকো ট্যুরিজম পার্কেও শ্যুটিং-এর প্রশস্ত জায়গা রয়েছে। প্রথমবার ক্ষমতায় এসে উত্তরপাড়ায় ফিল্মসিটি গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু নানান জটিলতায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এবার কলকাতার কাছে গড়ে ওঠা টেলি আকাদেমি রাজ্যের কাছে একটা বড় পাওনা। কামালগাজি ফ্লাইওভার দিয়ে কলকাতা থেকে এখানে পৌঁছতেও বেশি সময় লাগবে না।
মমতার মতে আজকের দিনে টেলিভিশন একটা বড় শিল্প। টিভি সিরিয়াল প্রথম আর নিছক বিনোদন নয়। একা বাড়ি থাকা মানুষের বন্ধু। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি টেলিভিশনের একনিষ্ঠ দর্শক। রাতের দিকে যতটা সময় পাই , আমি সিরিয়াল দেখি।
টেলিভিশনের কালকুশলীদের উদ্দেশে এদিন মমতা বলেন, আপনারা সৃষ্টির স্রষ্টা, দৃষ্টির দ্রষ্টা। বৃহস্পতিবার টেলি আকাদেমি অ্যাওয়র্ডের অনুষ্ঠানে টেলি জগতের সঙ্গে জড়িত সকলের ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত প্রতিভাবান।
তাঁরা খুব ভালো কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, যখন কোনও দরকার পড়বে, পরিবারের লোকের মতো ডেকো আমাকে, আমরা পাশে আছি। এদিন তিনি সবাইকে বসন্ত উৎসবের আগাম শুভকামনা জানান।
Advertisement



