• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পুর-যুদ্ধে আসন কমলেও ভোট শতাংশে ‘খুশি’ বামেরা

২০১৫ সালের কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ছিল ১৫। সেখান থেকে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে বামেদের আসন।

কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বামেদের চেয়ে বিজেপি একটি আসন বেশি পেলেও ভোট শতাংশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। যদিও এই নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলই বামেদেরকে দ্বিতীয় করার জন্য তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, আমাদের বিরোধী বামেরা থাকুক, তবে বিজেপির প্রতি অ্যালার্জি নেই। কারণ আমাদের দলনেত্রী গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।

Advertisement

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার এবং বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার যা ছিল, তার থেকেও বেশি ভোট এবার কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে পেয়েছে বামফ্রন্ট।

Advertisement

তৃণমূল পেয়েছে ৭২.২ শতাংশ। বামেরা পেয়েছে ১১.৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ভোট শতাংশের হিসেবে বামেরাই কলকাতার পুরভোটে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিজেপি পেয়েছে ৮.৯৫ শতাংশ ভোট, কংগ্রেস পেয়েছে ৪.৪৭।

৬৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা

উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ৬৫ টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ১৫ টি আসনে এবং বিজেপি এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪ টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ১৪ নম্বর বরোর সাতটি ওয়ার্ডে বামেরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

কমল বামেদের আসন সংখ্যা

উল্লেখ্য, বামেদের এবারের কলকাতা পুর নির্বাচনে ভোট শতাংশের হিসেবে দ্বিতীয় স্থান থাকলেও, আসন সংখ্যা অনেকটা কমেছে।

২০১৫ সালের কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ছিল ১৫। সেখান থেকে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে বামেদের আসন।

ভোট লুঠের অভিযোগ বামেদের

বিধানসভা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বামেদের ভোট শতাংশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে পারায়, আমজনতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা রবীন দেব।

তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁরা সবাই পরিকল্পনা করেই এই নির্বাচনে ভোট লুঠ করেছেন। এত বাধার পরেও যে মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

একই সঙ্গে ভোট গণনার দিনেও শাসক শিবির গণ্ডগোল করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাম প্রার্থী নমিতা রায় জিতেছে। সেটা জানা সত্ত্বেও এখন তার ওখান থেকে কাউন্টিং শিট আনতে দিচ্ছে না।

এভাবে যদি গণনাতেও গণ্ডগোল করে, ভোট দানে বাধা দিয়েছে, পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। যে কোনও অবস্থায়, সব আসনে তৃণমূলকে জিততে হবে এই যদি মনোভাব থাকে, সেই মনোভাবের প্রতিফলনই এই রেজাল্ট।’

Advertisement