রাজ্যে উপনির্বাচন পর্ব মিটলেই বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা হতে পারে। দলের পদাধিকারী তালিকায় একাধিক নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা। দলীয় সূত্রে খবর, অধিকাংশ তরুণ মুখই জায়গা পেতে চলেছে সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক পদে। শুধু তাই নয়, সংগঠনকে মজবুত করতে দক্ষিণবঙ্গের কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয়টি জেলার সভাপতি বদল নিয়েও আলোচনা চলছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছে এরকম জেলায় দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে সেখানে একাধিক রদবদলের ভাবনাচিন্তা রয়েছে। পুজোর মরশুম মিটলেই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
Advertisement
সেক্ষেত্রে কালীপুজো ভাইফোটা মিটলে নতুন কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে বালুরঘাটে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। আগামী ২০ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার কলকাতায় ফিরছেন তিনি। তারপর নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।
Advertisement
আগামী ৩০ অক্টোবর খড়দহ, শান্তিপুর, গোসাবা ও দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনকে সামনে রেখে এখন প্রচার ও ভোটকৌশল নিয়ে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রে খবর, সেটা সম্ভবত কালীপুজোর পরই হবে। কারণ চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করতে চাইছে না শীর্ষনেতৃত্ব।
নয়া কমিটি ঘোষণা হলে কোনো ক্ষোভ-বিক্ষোভ বা কোন্দল যদি দেখা দেয় তাহলে তার প্রভাব উপনির্বাচনে পড়তে পারে। এমনটাই মনে করছেন রাজ্য নেতাদের একাংশ। আবার রাজ্য সম্পাদক পদে অনেক তরুণ মুখকে জায়গা দেওয়া হবে। সেখানে উত্তরবঙ্গের একাধিকজন জায়গা পেতে পারেন। সহ-সভাপতি পদেও কয়েকজন নতুন মুখকে আনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
ভোটের সময় পারফরম্যান্স ঠিক ছিল না, এরকম কারা বাদ পড়তে পারেন তা নিয়েও শীর্ষস্তরে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য পদাধিকারীদের নামের তালিকা দিল্লির নেতৃত্বের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে উপনির্বাচন মিটলেই।
দলের একাধিক বিধায়ক এবাররাজ্য পদাধিকারী তালিকায় আসছেন। তবে রাজ্য থেকে চূড়ান্ত তালিকা যাওয়ার আগে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নেবেন।
Advertisement



