এক ইঞ্চিও জমিও হারায়নি ভারত। পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দু’দেশের সেনার মুখােমুখি সংঘর্ষ প্রসঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত মাস থেকে উত্তেজনা নিষ্ক্রিয়করণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট এলাকায় শান্তির লক্ষ্যেই।
গত এপ্রিলে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চিনের সেনা জওয়ানরা। যার জেরে উভয় পক্ষেরই একাধিক জওয়ানের মৃত্যু হয়। সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই সেনাপ্রধান নারাভানে বলেন, আমরা আমাদের এলাকা হারাইনি। আমরা সেখানেই রয়েছি। গােটা ঘটনা শুরুর আগে যেখানে ছিলাম। এমনকী এক ইঞ্চি জমিও হারাইনি আমরা।
Advertisement
সমস্যা সমাধানে চিনের সঙ্গে আলােচনা প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। উত্তেজনা প্রশমন করতে কম্যান্ডার পর্যায়ে ন’টি বৈঠক হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেনাপ্রধান নারাভানে বলেন, বর্তমানে গােগরা ও হটস্প্রিং এলাকা নিয়ে আলােচনা চলছে। দুই সেনাবাহিনীই তাদের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে গিয়েছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, চিনের কাছে আমাদের এলাকা হারাতে হয়নি।
Advertisement
একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে চিন। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে জোড়া চ্যালেঞ্জের মােকাবিলা নিয়ে সেনাপ্রধান বলেছেন, দুই সীমান্তেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এবং আমরা তার জন্য সব সময়ই প্রস্তুত। গত ফেব্রুয়ারিতেই পাকিস্তানের সঙ্গে ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। তাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২০০৩ সালের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষই।
যে কোনও অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি বা বিষয় নিয়ে হটলাইনে সংযােগ ও ফ্ল্যগ মিটিং-এর মাধ্যমে সমাধানের ব্যাপারেও সমঝােতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেনারেল নারাভানে। সেনাপ্রধান বলেছেন, ডিজিএম পর্যায়ের বৈঠকের পর মার্চ থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় শান্তি বজায় রয়েছে। যদিও ওপারের জঙ্গি শিবিরগুলি সক্রিয় রয়েছে। পাহাড়ের ওপর থেকে বরফ গলতে শুরু করলেই জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা শুরু করবে।
Advertisement



