১০ নভেম্বর ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি এক জায়গায় এলে বিজেপির বিপদ আসন্ন। বিহার নির্বাচনের ফল ঘােষণার পরে নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের একথা বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লােকসভার পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী।
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে এদিন তিনি বলেন, ‘বিহারের নির্বাচনে বিজেপির নৈতিক পরাজয় হয়েছে। ময়দানে লালুপ্রসাদ যাদব নেই। একটি ৩১ বছরের যুবকের নেতৃত্বে আর তার সঙ্গে মহাজোটে কংগ্রেস, বামদল সবাই মিলে বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁড়ালে, বিজেপিকে পরাস্ত করা যায় সেটা বিহারের নির্বাচন দেখিয়ে দিল। যদি ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি এক জায়গায় আসে, তাহলে বিজেপির যে বিপদ আসন্ন, এই নির্বাচন সবচেয়ে বড়াে জ্বলন্ত উদাহরণ। এই নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপি শেষ কথা বলবে। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি যত বেশি এক হবে ষ, সাম্প্রদায়িক শক্তির জয় তত নিশ্চিত হবে।’
Advertisement
অধীর চৌধুরী এদিন আরও বলেন, ‘বিজেপি-জেডিইউ বলেই দিয়েছিল তারা দুই-তৃতীয়াংশ ভােটে জিতবে। সেখানে আমরা কি দেখলাম, সমানে-সমানে টর হল। একটি ৩১ বছরের ছেলের নেতৃত্বে বিহার ভােট হল। তাকে হারানাের জন্য ভারতবর্ষের সরকারের ছােট-বড়াে-মেজো প্রত্যেকটা মন্ত্রীকে সেখানে আসতে হয়েছে।
Advertisement
সর্বপরি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ১১-১২ বার আনতে হয়েছে মসনদ ছেড়ে। বিজেপি পাশােয়ানের দলকে ব্যবহার করল। জেডিইউকে দমানাের জন্য এই বিজেপি আবার ওয়াইসির দলকে ব্যবহার করল মুসলমান ভোট কাটার জন্য। যদি ওয়াইসিকে বিজেপি ব্যবহার করতে না পারত, মুসলমান ভােট যদি কাটা না পড়ত, তাহলে ডেজিইউকে হারানাের ক্ষেত্রে আরজেডি এবং কংগ্রেসের মহাজোটের অনেক সুবিধা হত। বিজেপি ছলে-বলে কৌশলে হয়তাে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।
কিন্তু এটা বিজেপির জন্য আরও বিপদ হল। ওয়াইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অধীর চৌধুরী বলেন, “ওয়াইসি এবং তার দল কোটি কোটি টাকায় বিজেপির কাছে বিক্রি হয়েছে। ভােট কাটুয়া ওয়াসির মতাে লােককে ব্যবহার করে ধর্মের জিগির তুলে বিহারে ফয়দা তুললাে বিজেপি। এর আগেও মহারাষ্ট্রে করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও চেষ্টা করবে। আসামে চেষ্টা করবে। তাই বাংলার সংখ্যালঘু মানুষ ওয়াইসির মতাে ভােট কাটুয়া থেকে সতর্ক হবেন।
Advertisement



